দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। তবে শুরুর ৪৫ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউ। ফলে সুপারক্লাসিকোর প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবেই।

নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় ছিল আর্জেন্টিনা। শুরুর দশ মিনিটে বলের দখলেও এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসিরাই। তবে ব্রাজিলের জমাট রক্ষণ ভেঙে গোলের দেখা আর মেলেনি।

শুরুর অর্ধে বলের দখলে পিছিয়ে থাকা ব্রাজিল নিজেদের গুছিয়ে নেয় এরপরই। দুটো সুযোগও এসেছি তাতে। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে লুকাস পাকেতার পাস ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে খুঁজে পায় বিপজ্জনক অবস্থানে। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে প্রায় একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। 

৩০ মিনিটে অবশ্য আর্জেন্টিনাও একটা সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে লাওতারো মার্টিনেজের শটটা ভালোভাবেই ঠেকিয়ে দিয়েছে ব্রাজিল রক্ষণ। এর একটু পর বল নিয়ে এগোতে থাকা মেসিকে গোলমুখে যেতে বাধা দিয়ে বসেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার মাতেউস কুনিয়া। তবে বক্সের একটু বাইরে হওয়া এই ঘটনার ফলে অবশ্য ফ্রি কিক পায়নি আলবিসেলেস্তরা, উল্টো ফ্রি কিক গিয়েছে ব্রাজিলের পক্ষে।

৩৪ মিনিটে নিজেদের বক্সের কাছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার সঙ্গে বলের দখল নিয়ে লড়াই হয় নিকলাস অটামেন্ডির। বলের দখলে থাকলেও বক্সের একটু বাইরে অটামেন্ডি কনুই মেরে বসেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ডকে। তবে রেফারি তো বটেই, ভিএআরও এর ফলে কোনো ফাউল দেয়নি। 

৪০ মিনিটে রদ্রিগো ডি পল বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটই করে বসেছিলেন। তবে গোলরক্ষক অ্যালিসনের দৃঢ়তায় তা থেকে রক্ষা পায় ব্রাজিল। ফলে গোলহীনভাবেই শেষ হয় শুরুর ৪৫ মিনিট।

এনইউ