জাতীয় দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ। শেষ মুহূর্তে অনেক ম্যাচের হারের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। এবার তপুর গোলে বাংলাদেশ ১৮ বছর পর মালদ্বীপকে হারাল। তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন এই ডিফেন্ডার।
 
ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণকালে তপু প্রথমে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের সব সময় সমর্থন করে আসছেন।’ সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পর নিজেদের পরিশ্রমের বিষয়ে বলেন তিনি, ‘আমার দলের সবাই অনেক অনেক পরিশ্রম করেছে। মালদ্বীপকে ১৮ বছর পর হারালাম আমরা। সবাই খুব খুশি।’

সিশেলস বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে। সেই দলের বিপক্ষে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা মালদ্বীপকে হারালেন জামালরা। দুই ম্যাচের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তপু বলেন, ‘সিশেলসের ম্যাচে মাঠ ভারি ছিল। মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠ ‍তুলনামূলক ভালো ছিল।’

আজকের এই জয়ের পেছনে কোচের অবদানের কথাও বলেছেন তিনি, ‘এই ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোচের নির্দেশনা মতো খেলতে পেরেছি। এর ফলে ফল পেয়েছি। ধন্যবাদ সকলকে আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য।’

তপু দেশসেরা ডিফেন্ডার হলেও জাতীয় দলে তার গোল সংখ্যা এখন ছয়। সাফেও পেনাল্টি থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল করেছিলেন। এই বছর জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি তারই। বাংলাদেশের এই বছর তিনটি জয়ের নায়ক এই ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। 

এজেড/এমএইচ