বিশেষ এই জার্সি পরেই রোববার রাতে খেলতে নেমেছেন ইনিসিনিয়েরা/গেটি ইমেজ

ডিয়েগো ম্যারাডোনা এমনিতেই থাকেন ন্যাপোলিভক্তদের অন্তরেই। ক্লাবটির ইতিহাসকে বদলেই দিয়েছিলেন যিনি, তার সম্মানে সেটা করলেও যেন কম হয়ে যায়। তার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার বর্ষপূর্তি আসছে কিছুদিন পরেই। তার চলে যাওয়ার বর্ষপূর্তির মাস নভেম্বরে তাকে সম্মান জানাতে ভিন্নধর্মী এক পদক্ষেপ নিয়েছে ন্যাপোলি। জার্সিতে তাকে এঁকে, তাকে বুকে নিয়েই খেলতে নামছেন লরেঞ্জো ইনসিনিয়েরা।

গেল বছর ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি আর্জেন্টিনা ও ন্যাপোলিতে খেলোয়াড়ি জীবনে এমন কিছু কীর্তি গড়ে গেছেন, যা ভাঙা সম্ভব হয়নি এখনো। আর্জেন্টিনার সবশেষ বিশ্বকাপটা এসেছে তার অধীনে। এরপর আটটা বিশ্বকাপ, আর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সে অধরা বিশ্বকাপের স্বাদটা আর পায়নি আলবিসেলেস্তেরা।

আর্জেন্টিনা তাও তার আগে একটা বিশ্বকাপ জিতেছিল। ন্যাপোলি সেটাও পারেনি। ১৯৮৪ সালে যখন ন্যাপোলিতে যোগ দেন তিনি, তখন ক্লাবটির ট্রফিকেসে ছিল না কোনো সিরি’আ শিরোপা। ইউরোপীয় কোনো শিরোপাও ছিল না দলটির। ম্যারাডোনা তার ন্যাপোলি ক্যারিয়ারের সাত বছরে দলকে জিতিয়েছেন দুটো লিগ, আর একটি করে উয়েফা কাপ (বর্তমান ইউরোপা লিগ) আর কোপা ইতালিয়া। তার চলে যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই দলটি জেতেনি সিরি’আ। 

এমন একজনকে তো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করারই কথা দলটির। সেটা তারা করছেও। তার পরা দশ নম্বর জার্সিটাকে পাঠিয়ে দিয়েছে অবসরে, সেটা তার জীবদ্দশাতেই। তার মৃত্যুর পর নিজেদের স্টেডিয়ামের নামও বদলে ফেলেছিল, রেখেছিল ‘ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম’। এরপর এবার আরেক অভিনব পদক্ষেপই নিয়েছে ক্লাবটি। সেটা জার্সিতে ম্যারাডোনাকে এঁকে।

চলতি মাসে ন্যাপোলির জার্সিতে দেখা মিলবে বড় একটা ফিঙ্গারপ্রিন্টের, যেখানে সুপার ইম্পোজ করে বসানো আছে ম্যারাডোনার বিশাল এক ছবি। সম্মান জানানো তো আছেই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যেও ম্যারাডোনার চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থেকেও এ পদক্ষেপ নিয়েছে ক্লাবটি। এই জার্সিটি পরেই চলতি নভেম্বরের পুরোটা সময় মাঠে নামবে ন্যাপোলি। গতকাল ভেরোনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো এই জার্সি পরে মাঠে নামবে ক্লাবটি। এরপর ২১ নভেম্বর ইন্টারমিলান, আর ২৮ নভেম্বর ল্যাজিওর বিপক্ষেও এই জার্সি পরেই খেলবেন ইনসিনিয়েরা।

তিনটি ভিন্ন রঙে এই জার্সিটি বাজারেও এনেছে ন্যাপোলি। প্রতিটি অবশ্য বানানো হয়েছে ১৯২৬টি করে। জানানো হয়েছে, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯২৬ সালকে মাথায় রেখেই এ সংখ্যাটি ধার্য করা হয়েছে। যা বিক্রির টাকা যাবে দাতব্য কাজে।

এনইউ