চলতি বছর কোপা আমেরিকা জিতে ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছেন লিওনেল মেসি। তবে বছরজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা রবার্ট লেভান্ডভস্কি, মোহামেদ সালাহ, কারিম বেনজেমা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরাও পিছিয়ে নেই। বরং ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রিভালদোর চোখে বায়ার্ন তারকা লেভান্ডভস্কিকেই যোগ্য মনে হচ্ছে। তবে মেসি কিংবা সালাহদের জেতাকেও উড়িয়ে দিলেন না সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ড। 

ব্যালন ডি’অরের ভোটিং শেষ। এখন কেবল অপেক্ষা ২৭ নভেম্বরের। সেদিনই দুই বছর বিরতি শেষে আবারও মঞ্চে ফিরবে ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠান। ২০১৯ সালের শেষ দিকে লিওনেল মেসির হাতে উঠেছিল পুরস্কারটা। এরপর গেল বছর করোনা মহামারির কারণে পুরষ্কারটা কাউকেই দেয়নি ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসায় এবার আবার পুরস্কারটি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

গেল বছর আগুনে ফর্মে ছিলেন লেভান্ডভস্কি। প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতবেন তিনি, এমন ধারণাই ছিল ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে সেটা আর হয়নি শেষমেশ। 

তবে সে ফর্মটা চলতি বছরও ধরে রেখেছেন তিনি। ফলে এ বছরও ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ের সামনের দিকেই আছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। শেষ কিছুদিনে ইউরোপীয় বাজিকরদের পছন্দেও মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। এ তালিকায় আছেন মোহামেদ সালাহও।

১৯৯৯ সালের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী রিভালদো অবশ্য মনে করেন বুকিদের পছন্দই সঠিক, লেভান্ডভস্কিরই জেতা উচিত এবারের এই পুরস্কার। তবে মেসি, সালাহদেরও পিছিয়ে রাখলেন না তিনি। রিভালদো বলেন, ‘রবার্ট লেভান্ডভস্কিই আগামী আগামী ২৯ নভেম্বরের ব্যালন ড’অর জয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট। সে যোগ্য হিসেবেই জিতবে, মেসি, সালাহরাও জিতলে যোগ্য হিসেবেই জিতবে।’

রিভালদো আরও যোগ করেন, ‘বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। একজন দারুণ সফল গোলস্কোরার। যা ব্যাভারিয়ানদের জন্য পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। বিষয়টা আমরা গত মঙ্গলবার আবারও দেখেছি, যখন সে বেনফিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছে, সতীর্থদের দিয়ে একটি গোলও করিয়েছে।’

এনইউ