ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদার ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ঘোষণার সময় এগিয়ে আসছে ক্রমেই। এক মাসের মতো সময়ও বাকি নেই আর। এবার বিশ্বসেরা ফুটবলার কে হবেন এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। লিওনেল মেসি আছেন রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পুরস্কার জয়ের দৌড়ে, আছেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি, জর্জিনিও, কারিম বেনজেমারাও। 

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেও এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন তারকারা। তেমনই এক প্রসঙ্গ উঠে এল সম্প্রতি জর্জিনিও যখন মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। প্রসঙ্গটা উঠতেই তিনি ঠাট্টাচ্ছলে বললেন, ভোটটা নিজেকেই দেবেন তিনি। 

পুরস্কারটা সাধারণত আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হয়। শেষবার যখন কোনো রক্ষণাত্মক খেলোয়াড় ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন, সেটা ছিল সেই ২০০৬ সালে, ইতালিকে বিশ্বকাপ জেতানোয় বড় অবদান রাখায় ফ্যাবিও ক্যানাভারো জিতেছিলেন পুরস্কারটা। জর্জিনিও চেলসি ও ইতালিতে খেলেন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে। তিনি জিতলে প্রায় ১৫ বছর পর আবারও কোনো রক্ষণাত্মক খেলোয়াড় জিতবেন পুরস্কারটা। 

তালিকায় তার অন্তর্ভুক্তিও বলে দিচ্ছে শেষ এক বছরে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে কী প্রভাবটাই না রেখেছেন তিনি। ক্লাবকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা আর ইতালিকে জিতিয়েছিলেন ইউরো। সাংবাদিক, কোচ, ও খেলোয়াড়দের বড় সমর্থনই যে আসবে তার পক্ষে, তা বলাই বাহুল্য। 

তবে সেটা যদি না হয়? সেটা না হলেও অন্তত যেন একটা ভোট পান তিনি, সে ব্যবস্থাও ভেবে রেখেছেন জর্জিনিও। ইএসপিএন ব্রাজিলকে তিনি বললেন, ‘যদি আমি আমাকে ভোট না দেই, তাহলে কে দেবে! অন্তত একটা ভোট হলেও নিশ্চিত করতে চাই আমি।’ যদিও একটু পরই বিষয়টা যে ঠাট্টা করেই বলেছেন, বিষয়টাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।  

এরপরই জানালেন, তার চোখে কে ব্যালন ডি’অর পাওয়ার যোগ্য। বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি যদি ভোট দিতাম, তাহলে কেভিন ডি ব্রুইনাকেই দিতে চাইতা। সে সুন্দর ফুটবলের জন্য যা করে চলেছে শেষ কয়েক বছরে, তার জন্য হলেও। যারা ফুটবল পছন্দ করে, তাদের জন্য তাকে খেলতে দেখাটা দারুণ। কারণ সে ফুটবলটা বোঝে, সে এমন একজন খেলোয়াড় যার ফুটবল প্রজ্ঞা সাধারণের চেয়েও বেশি।’

এনইউ