কিছুক্ষণ আগেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ড্র করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। শুরুতে গোল খেয়ে বসেছিল ব্রাজিলও। পিছিয়ে ছিল ম্যাচের ৭১তম মিনিট পর্যন্ত। মনে হচ্ছিল পয়েন্ট হারাতে পারে সেলেসাওরাও।

কিন্তু ৯০ মিনিটের খেলাশেষে বড় ব্যবধানে জয়ই পেয়েছে তিতের দল। ৩-১ গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়েছে ব্রাজিল। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ৯ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে সেলেসাওরা। হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞায়  ম্যাচটিতে ছিলেন না ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। 

ম্যাচের ১১তম মিনিটেই এরিক রমিরেজের গোলে এগিয়ে যায় ভেনেজুয়েলা। পরে ওই গোল শোধ করতে ঘাম ঝরাতে হয় ব্রাজিলকে। ৭১ মিনিটে এসে প্রথম গোলটি করেন মার্কিনিওস। এরপর ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। যোগ করা সময়ে আরও এক গোল করেন এন্থনি।

ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটে বলার মতো তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। কিন্তু ১১তম মিনিটে সুযোগ পেয়েই সেটা কাজে লাগায় ভেনেজুয়েলা। ডান দিক থেকে ইয়েফেরসন সোতেলদোর চমৎকার ক্রস পেনাল্টি স্পটের কাছে ঠেকাতে গিয়ে পড়ে যান ব্রাজিলের দুই ডিফেন্ডার। ফাঁকায় পাওয়া বল এরিক রামিরেস বাকি কাজে কোনো ভুল করেননি। 

কিন্তু নেইমার ও দাঁতের সমস্যায় না থাকা মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর অভাবটা ভালোই টের পায় ব্রাজিল। বল দখলের লড়াইয়ের এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ধার ছিল না সেলেসাওদের। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।

৫০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ফেলতে পারতো ব্রাজিল। ডি-বক্সের কাছেই প্রতিপক্ষের একজনকে পাস দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু ওই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ভেনেজুয়েলা। ৫৭ মিনিটে অবশ্য গোল দিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু অফসাইডে থাকায় বাতিল হয়ে যায় থিয়েগো সিলভার ওই গোল।

৭১তম মিনিটে ম্যাচে ফেরে ব্রাজিল। রাফিনিয়ার কর্নারে জোরালো হেড করেন মার্কিনিওস। এবারই প্রথম লক্ষ্যে বল রাখতে পেরেছিল ব্রাজিল। সেটিতেই গোল পেয়ে যায় তারা। ৮৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন বারবোসা। 

যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোল পান এন্থনি। তার নেওয়া প্রথম শট গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল করেন বদলি হিসেবে নামা এই ফুটবলার। ৯ ম্যাচে টানা ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষেই রইলো ব্রাজিল।

এমএইচ