অনেকদিন ধরে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল আর্জেন্টিনা। এবার কিছুটা হলেও মাটিতে নেমে আসতে হচ্ছে আলবিসেলেস্তেদের। অবশ্য হেরে যায়নি লিওনেল স্ক্যালোনির দল। তবে প্যারাগুয়ের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লিওনেল মেসিদের।

শুক্রবার ভোরে প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু হওয়া ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। তাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চতুর্থবারের মতো পয়েন্ট হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচেই বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি।

তিনি উজ্জ্বল ছিলেন এই ম্যাচে। তবে কিছুটা নিচে নেমে বল যোগানেই বেশি মনোযোগী ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অবশ্য আক্রমণের ধারা ঠিকই রেখেছিল আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি-ডি মারিয়াদের কল্যাণে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগে। কিন্তু স্বাগতিকদের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ দুইটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো চতুর্থ মিনিটে গোলে পাল্টা আক্রমণে অনেক দূর থেকে সান্তিয়াগো আর্সামেন্দিয়ার শট নেন। সেটি ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

ম্যাচের সময় বাড়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে আর্জেন্টিনা। ১০ম মিনিটে মেসির রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোররেয়ার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক আন্তোনি সিলভা। 

বক্সের ভেতর আবার কোররেয়াকে বল দেন মেসি। তার শট গোলরক্ষক ঠিকমতো ফেরাতে না পারলে গোলমুখে পেয়ে যান ডি মারিয়া। তার টোকায় বল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায়। ২৬তম মেসির ফ্রি-কিক জাল খুঁজে পায়নি অল্পের জন্য।

প্রথমার্ধের বাকিটা সময়েও আধিপত্য ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। তবে গোলের দেখা পাওয়া যায়নি কিছুতেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণ চালিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে স্বাগতিকদের দারুণ একটি সুযোগ রুখে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।

৭১তম মিনিটে সবচেয়ে দারুণ সেভটা দেন মার্টিনেজ। বাঁ প্রান্ত থেকে আচমকা শট নেন সানাব্রিয়া। ওই শটে অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক। শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ালেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে। 

এমএইচ