‘ঘরের ছেলে’ রাউলই ডোবালেন রিয়াল মাদ্রিদকে
এক সময় খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে, হোক সেটা বি, কিংবা সি দল। রিয়াল মূল দলের হয়ে কখনো না খেলা এক সময়ের ‘ঘরের ছেলে’ রাউল ডি টমাসই আজ হয়ে গেলেন দলটির হন্তারক। তার ও অ্যালেইশ ভিদালের গোলে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওল।
রাউলের যুব ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদে। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ক্লাবটির যুব দলে। এরপর ২০১৩ সালে ক্লাবটির সি দলে পেলেন সুযোগ। পরের বছর বি দলে। ৬২ ম্যাচে করলেন ১৪ গোল। তবে দলটা যখন রিয়াল মাদ্রিদ, তখন ম্যাচপ্রতি গোলসংখ্যাটা এত কম হলে তো দলে সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়, রাউলেরও হলো না। ২০১৫ সালে যে পরবাসী হলেন, এরপর আর ঘরে ফেরা হলো না তার। শেষমেশ ২০১৯ সালে তাকে বেনফিকার কাছে বেচেই দেয় রিয়াল। সেখান থেকে ফেরেন এস্পানিওলে।
বিজ্ঞাপন
রিয়ালের মূল দলে জায়গা না পাওয়ার আফসোসটা যেন আজ কিছুটা হলেও মেটালেন রাউল। গোল করলেন ম্যাচের ১৭ মিনিটে। করলেন দারুণ উদযাপনও। এর আগে পরে রিয়ালের দাপট থাকলেও প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির দল। এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।
বিরতির পর সমতায় ফেরার একটা সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। লুকা মদ্রিচের ক্রসে মাথা ছোঁয়ালেও এডার মিলিতাওয়ের হেডারটা বেরিয়ে যায় এস্পানিওল গোলমুখের একটু বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধে আধিপত্য থাকলেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল, উল্টো প্রতি আক্রমণে গোল হজম করে বসে দলটি। দ্বিতীয়ার্ধেও ঘটল একই দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন। ৬০ মিনিটে আরও একটা প্রতি আক্রমণে এস্পানিওলকে দুই গোলের লিড এনে দেন সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডার অ্যালেইশ ভিদাল।
৭১ মিনিটে কারিম বেনজেমা ব্যবধান কমান রিয়ালের হয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটা আর পায়নি রিয়াল। তাই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দ্বিতীয় হারের কবলে পড়ে অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা।
বার্সেলোনার সময়টা ভালো যাচ্ছে না মোটেও। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও যেন পাল্লা দিয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে দুঃসময়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সা হেরেছিল বেনফিকার কাছে। একই ম্যাচদিবসে রিয়াল হেরেছিল শেরিফ তিরাস্পোলের কাছে। লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরেছে বার্সা। রিয়াল মাদ্রিদও এবার হেরেছে এস্পানিওলের কাছে। এর পরও অবশ্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লা লিগার শীর্ষেই আছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ৮ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন ১৭ পয়েন্ট।
এনইউ