জামালদের খেলা দেখতে ছুটি নিয়েছেন তারা
সোমবার কর্মব্যস্ত দিন মালেতে। এরপরও মালে স্টেডিয়াম চত্বরে বাংলাদেশিদের ভিড়। নিজের টিকিট সংগ্রহের পর বন্ধুর জন্য অপেক্ষা। আবার কেউ ভ্যাকসিন কার্ড আনলেও মালদ্বীপের ওয়ার্ক পারমিট আনেননি, দ্রুত গতিতে ওয়ার্ক পারমিট কার্ড আনার জন্য ছুটছেন। সবার এই প্রাণান্ত ছোটাছুটি জামাল ভূঁইয়াদের খেলা এক নজর দেখার জন্য।
কুমিল্লার ছেলে আব্দুর রহমান। কাজ করেন মালের একটি দোকানে। আগামীকাল জামালদের খেলার দিন থাকবে ডিউটি। এজন্য আগেভাগে ছুটি নিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের খেলা মালেতে সব সময় দেখতে পারব না। এজন্য ছুটি নিয়েছি। অন্য ছুটির দিন কাজ করে পুষিয়ে দেব।’ সুনামগঞ্জের মধ্যবয়সী সেলিম অবশ্য পুরো দিন নয় বিকেলের দুই ঘন্টা কোনোমতো ম্যানেজ করবেন, ‘আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত একটু বিশ্রাম চেয়েছি। ওই সময়টা বাংলাদেশের খেলা দেখতে আসব।’
বিজ্ঞাপন
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হওয়ায় বাড়তি উদ্দীপনা বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে। স্টেডিয়ামে টিকিট কিনতে আসা প্রবাসীদের বক্তব্য, ‘বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলা দেখার চেষ্টা করি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করা যায় না। ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সব সময়ই বাড়তি উদ্দীপনার।’ কর্মজীবী প্রবাসীদের মধ্যে খেলার গভীরতাও অনেক। আব্দুর রহমান বাংলাদেশ দলের দুর্বলতাও ধরে ফেলেছেন প্রথম ম্যাচ দেখে, ‘আমাদের দলের মূল সমস্যা স্কোরিং। গোলের সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং ঠিক হচ্ছে না।’ এরপরও তাদের স্বপ্ন, ‘দোয়া করি বাংলাদেশ এখান থেকে কাপ নিয়ে যাক। আমরা সব সময় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।’
আগামাকীল সোমবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি দুই দলের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। মালেতে অনেক বাংলাদেশি থাকায় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা থাকবে বেশি। গ্যালারিতে বাংলাদেশীদের সমর্থন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে একটু এগিয়ে রাখবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ বলেন, ‘আমি তো অনেক ভারতীয়ও দেখেছি। আমাদের হোটেল ও অনুশীলনেও অনেকে এসেছে। দলকে সমর্থন আসুক সবাই।’
এজেড/এটি