ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই এটির বিকল্প ভাবনায় ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

নতুন এই টুর্নামেন্টের ব্যাপারে আলোচনা ও সমালোচনা দুটিই রয়েছে। এবার এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সুপার লিগে অংশ নেওয়া কোনো ফুটবলার বিশ্বকাপসহ ফিফার আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে তারা। 

স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের উদ্যোগে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো নিয়ে একটি সুপার লিগ আয়েজনের পরিকল্পনা করার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তার ওই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল সেসময়। 

গত সোমবার জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগনেল্লির সঙ্গে দেখা করতে ইতালিতে যান রিয়ালের প্রেসিডেন্টস ফ্লেরেন্তিনো পেরেজ। আগনেল্লি একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) প্রধানও। তাদের দুই জনের এই সাক্ষাতের পরই ছয় কনফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সুপার লিগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ফিফা।  

বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘ফিফা ও ছয় কনফেডারেশন (এএফসি, সিএএফ, কনকাকাফ, কনমেবল, ওএফসি ও উয়েফা) আবারও পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে যে, কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাবের অংশগ্রহণে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে যে কথা উঠেছে, তা কোনোভাবেই ফিফা বা এর প্রতিনিধিত্ব করা কোনো কনফেডারেশন স্বীকৃতি দেবে না।’

বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তারা জানায়, ‘এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কোনো ক্লাব বা খেলোয়াড়কে ফিফা বা তাদের প্রতিনিধিত্ব করা কোনো কনফেডারেশনের আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।’

এমএইচ