বড় বিপদেই আছে বার্সা, বলছেন অধিনায়ক
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে হারের ‘কীর্তি’ একটাই ছিল বার্সেলোনার। সেটাই সেই ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে। প্রায় পঞ্চাশ বছর পর সেই বিস্মরণযোগ্য পরিস্থিতি আবারও ফিরে এসেছে কাতালান দলটির দুয়ারে। বায়ার্ন মিউনিখ আর বেনফিকার কাছে যে টানা দুই ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছে দল।
এমন কিছু অতি অবশ্যই দলের দুর্দশা জাহির করে দেয়। অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস তাই বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বেড়ালেন না। অকপটে স্বীকার করে নিলেন, তার দল ঘোর বিপদেই পড়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
বেনফিকা ম্যাচের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ‘আমরা বড় বিপদেই আছি। দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছি অথচ আমাদের অর্জন শূন্য পয়েন্ট!’
এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হলে টানা জয় চাই বার্সেলোনার। সেই জলবৎ তরলং সমীকরণটাই মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘টেবিলের ওপরে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে আমাদের। আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
এ পরিস্থিতিতে ইতিবাচকতারও প্রয়োজনীয়তা দেখছেন তিনি। বললেন, ‘আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। অন্য ম্যাচে কী হয় তা দেখতে হবে। আমরা তলানিতে আছি, কিন্তু আমাদের ইতিবাচকভাবে সব ভাবতে হবে।’
বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে বার্সা প্রতিপক্ষ গোলমুখে রাখতে পারেনি একটি শটও। এরপর বেনফিকা ম্যাচও চলে গিয়েছে, এদিনও প্রতিপক্ষ গোলমুখে রীতিমতো অলস সময়ই কাটিয়েছেন গোলরক্ষক অডিসিয়াস ভ্লাচদিমস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ চলে গেছে, অথচ বার্সা প্রতিপক্ষ গোলমুখে নিতে পারেনি একটি শটও; এমন কিছু চলতি মৌসুমের আগে বার্সার ইতিহাসেই হয়নি কখনো। সেই ক্লাবটাই কিনা টানা দুই ম্যাচে রাখতে পারল না একটা অন টার্গেট শটও!
তবে এমন পরিসংখ্যানকে বার্সার আক্রমণাত্মক সৃষ্টিশীলতার সঠিক রূপটা তুলে ধরতে পারছে না, অভিমত বুসকেটসের। বার্সা অধিনায়কের কথা, ‘আমি জানি না। আমরা কিন্তু অনেকগুলো ক্রস খেলেছিলাম। আমাদের সুযোগ ছিল, যা শেষ হয়েছে গোলপোস্টের কয়েক মিটার বাইরে করা শট দিয়ে। পরিসংখ্যানটা ঠিকই আছে। কিন্তু আমরা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলাম ঠিকই।’
‘যেসব জায়গায় খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়, সেখানে আমরা প্রভাব বিস্তার করতে পারিনি। আমি মনে করি আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।’
এমন টানা দুই হারের ফলে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের ভবিষ্যৎও ঝুলে গেছে সুতোয়। তবে বুসকেটস জানালেন তেমন কিছু মোটেও কোনো সমাধান নয়। বললেন, ‘দিনশেষে কোচকে বিদায় করাটাই সবচেয়ে সহজ কাজ। কিন্তু পরিস্থিতিটা এখন সত্যিই গুরুতর।’
এনইউ/এটি