মালের প্রবাসীর বেশ বড় একটি অংশ বাংলাদেশি। তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন জামাল ভূঁইয়ারা। আজ বুধবার কর্মদিবসের মধ্যেও বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী জামালদের অনুশীলন দেখতে এসেছিলেন।

জৈব বলয়ের মধ্যে থাকায় ফুটবলারদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও তাদের দূর থেকে এক নজর দেখার জন্য হেনভিরু অনুশীলন গ্রাউন্ডে এসেছিলেন। এদেরই একজন আল আমিন। একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী তিনি। তার প্রত্যাশা, ‘আমরা খুব সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের খেলা দেখার সুযোগ পাব। বাংলাদেশ দল সাফে ভালো খেলবে। আমরা গ্যালারিতে থেকে সমর্থন দেব।’ 

মালে স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতা এমনিতেই হাজার দশেক। করোনা সতর্কতায় সেটি এখন হাজার পাঁচেক। সেই হাজার পাঁচেক দর্শককে হতে হবে ডাবল ডোজ ভ্যাক্সিনেটেড। এতেও সমস্যা নেই, ‘আমাদের প্রায় সব বাংলাদেশি ভাইদের ভ্যাকসিন নেয়া আছে। স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রি চলছে। সেখানে আমরা বাংলাদেশিদের লাইনই বেশি।’

কিছু দিন আগে মালে এসেছিল বসুন্ধরা কিংস। এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে যেতে না পারলেও কিংসের খেলায় মন জুড়িয়েছিল প্রবাসীদের। বিশেষ করে মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারানোয় প্রবাসীরা খুব খুশি হয়েছেন। এর আগে ঢাকা আবাহনী কয়েক বার আসলেও জিততে পারেনি মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষে। 

১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের সাফ মিশন শুরু। এক দিন আগে আজ মালেতে ঘন্টা দেড়েক অনুশীলন হয়েছে। সিনিয়র ফুটবলার সোহেল রানার সামান্য জ্বর। এজন্য তিনি অনুশীলন করেননি। চিকিৎসকের তত্ত্ববধায়নে রয়েছেন। 

আজকের অনুশীলন সেশন সম্পর্কে সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি বলেন, ‘ম্যাচের আগে যে কাজ হয় সেটিই হয়েছে। আমরা আজ শুটিং ও স্কোরিং নিয়ে একটু বেশি কাজ করেছি।’ 

এজেড/এনইউ