অনেকদিন ধরেই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল ভক্তদের মনে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জন্য ফুটবলে সবচেয়ে সম্মানজনক পদক ব্যালন ডি অর শেষ পর্যন্ত উঠবে কার হাতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ট্রফির উপর একরকম রাজত্বই করে আসছেন হালের দুই সেরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। সিআর সেভেনের ৫টি ব্যালন ডি অরের বিপরীতে লা পুলগার (মেসি) হাতে ৬ বার উঠেছে এই ট্রফি।

অবাক করার মত বিষয় হলেও সত্যি গত এক দশকে এবারই প্রথম এই সম্মাননার দৌড়ে নেই ক্রিশ্চিয়ানো। জুভেন্তাসে গত মৌসুমটা আশানুরূপ কাটেনি পর্তুগিজ সুপারস্টারের। কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত হওয়া ইউরোতেও শেষ ১৬ পার করতে পারেনি পর্তুগাল। তবে ব্যালন ডি অর জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মেসিই। এবছরই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকার ট্রফি। তাই ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকই মনে করছেন মেসিরই পাওয়া উচিত এই ট্রফি।

এছাড়াও এই ট্রফি লাভের দৌড়ে আরও আছেন ইতালির ইউরো জয়ী দলের সদস্য চেলসি মিডফিল্ডার জর্জিনহো ও একই দলের বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেরো লুকাকু। তবে ইতালির ইউরো জয়ী অধিনায়ক জর্জিও চিয়েলিনি মনে করছেন তার স্বদেশি জর্জিনহোর হাতেই শোভা পাওয়া উচিৎ সবচেয়ে বৃহৎ এই ব্যক্তিগত সম্মাননা।

আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় নিজের জাতীয় দলের এই সতীর্থের মুখোমুখি হবেন ইতালি অধিনায়ক। সেই ম্যাচের আগে চিয়েলিনি রীতিমত প্রশংসায় ভাসালেন মাঝমাঠের এই সেনানিকে। সব মিলিয়ে বছরটা এর চেয়ে ভালো যেতে পারে না কোন ফুটবলারের। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর জিতলেন ইতালির হয়ে ইউরোও। 

চিয়েলিনি বলেন, ‘আশা করি সেই এটা (ব্যালন ডি অর) জিতবে। সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু তাই সে জিতলে আমার মনে হবে আমিই জিতেছি। সে এমন একটি জয় ও আবেগের অংশীদার যা আজীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে। আমি জানতাম সে ভাল কিন্তু অনুশীলনের সময় আমি বুঝতে পারলাম সে একজন সেরা খেলোয়াড়।’

জর্জিনহোর কৌশলের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘তার প্রচুর কৌশলগত দক্ষতা রয়েছে। সে যেখানেই যায় সেই শুরু করে। আমি মন থেকে চাই সেই ব্যালন ডি অর জিতুক।‘

তবে চিয়েলিনি জর্জিনহোর পক্ষে কথা বললেও দলে ভূমিকা রাখার বিবেচনায় নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে আছেন মেসি। আহত হয়েও দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে খেলেছেন ক্ষুদে জাদুকর। গোল করা, গোল করানো ও সুযোগ তৈরির বিবেচনায় বেশ এগিয়ে আছেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডারের চেয়ে। 

এআইএ/এটি