ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার পর প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো/ফাইল ছবি

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সিআর সেভেন হয়ে উঠার পিছনে স্যার আলেক্স ফার্গুসনের অবদানকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। লিসবন থেকে উঠে আসা এই তরুণ তুর্কিকে পরম যত্নে তো গড়ে তুলেছিলেন এই ফার্গুসনই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই ম্যানেজার এবার মুখ খুললেন রেড ডেভিল শিবিরে রোনালদোর প্রত্যাবর্তন নিয়ে।

রোনালদোর এই স্বপ্নীল প্রত্যাবর্তনকে তিনি তুলনা করেছেন যুদ্ধে জয়লাভের পর জুলিয়ান সিজারের রোমে আসার সঙ্গে। প্রত্যাবর্তনের মত ম্যানইউ’র হয়ে দ্বিতীয় অভিষেকটাও দারুণ হয়েছে পর্তুগিজ মহাতারকার। দুই গোল করে নিজের ফিরে আসাটা আরও রঙিন করে রাখেন তিনি। খেলাটি গ্যালারি থেকে সরাসরি উপভোগ করেন রোনালদোকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার নেপথ্যের অন্যতম কারিগর ফার্গুসন।

রেড ডেভিলদের ১৩টি প্রিমিয়ার লিগ ও ২টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো এই কিংবদন্তী কোচ বলেন, ‘মনে হচ্ছিল সিজার রোমে প্রবেশ করছে। সে এল, দেখলো এবং জয় করল। প্রতিটি ইউনাটেড ভক্তের জন্য ব্যাপারটিই দারুণ ছিল। তাকে দেখার জন্য বাইরেও শত শত মানুষ অপেক্ষা করছিল।’

এরপরই রোনালদোর মহাতারকা হয়ে উঠার পিছনের পরিশ্রম নিয়ে কথা বললেন তার পিতৃতুল্য এই কোচ। ফার্গুসন বলেন, ‘সে যখন ছোট ছিল খুব দ্রুত সবকিছু শিখে ফেলত। শুরুতে অনেকেই বলেছিল সে খালি পড়ে যায়। কিন্তু এরপর সে ডিফেন্ডারদের আক্রমণ করা শুরু করল। সে প্রচন্ড গতিতে আক্রমণ করত।’

খেলাটি সম্পর্কে রোনালদোর ধারণা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছিল উল্লেখ করে বর্ষীয়ান এই সাবেক কোচ আরও বলেন, ‘সে উচ্চাশা নিয়েই জন্মেছিল। সেরা হওয়ার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিল। আমার মনে আছে আমাদের আর্সেনালের বিপক্ষে খেলা ছিল। সে অনুশীলন করছিল। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল সে সময়। আমি অফিস থেকে বের হয়ে তাকে বললাম, আমাদের কালকে খেলা রয়েছে। মাঠ প্রচুর ভিজে গেছে। ভিতরে চলে আস। সে কি করল জানেন? আবার মাঠে চলে গেল!’ রোনালদোর ঐদিনের সেই একগুঁয়েমি নিয়ে তার সাবেক গুরু বলেন, ‘আমি তাকে কিছুই বলতে পারতাম না। সে আমাকে হারিয়ে দিত।’ 

এআইএ/এনইউ