গার্দিওলার ‘নয়নমণি’ মেসি, ‘চোখের বালি’ মেসি
লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। বার্সেলোনায় দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারে নতুন নতুন রেকর্ড যেন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এখন পর্যন্ত স্প্যানিশ লিগ লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ঝুলিতে আরও পুরেছেন বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও ক্লাবটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও।
বার্সেলোনার সিনিয়র দলে ‘লা পুলগার’ অভিষেক হয় ২০০৩ সালে। এরপরের গল্পটা সবারই জানা। দীর্ঘ ১৭ বছরে জিতেছেন ৩৫ টি শিরোপা। এর মধ্যে রয়েছে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। তবে পরিসংখ্যান বলছে সবচেয়ে ভাল সময়টা মেসি কাটিয়েছেন ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা পেপ গার্দিওলার অধীনেই। লা ব্লাউগ্রানাদের তিনটি লা লিগা ও ২টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১৪টি ট্রফি জিতিয়েছেন স্প্যানিশ এই কোচ। তার অধীনে ২১৯ খেলায় ২১১ গোল করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা মেসি।
বিজ্ঞাপন
কাতালানদের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ কোচ গার্দিওলার অধীনে মেসির পারফরম্যান্স বেশ ঈর্ষনীয়। তার অধীনে ৪৭টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলায় ৪৩ গোল করেছেন এই ক্ষুদে জাদুকর। ২০১২ সালে বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার পর গার্দিওলা জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে যোগ দেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে বায়ার্ন ছেড়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন তিনি। গার্দিওলা দায়িত্বে থাকাকালীন বায়ার্ন ও সিটির বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলেছেন মেসি।
২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে দুই গোল করে গার্দিওলার বায়ার্নকে প্রতিযোগিতা থেকে ছাঁটাইয়ের নেপথ্যের অন্যতম নায়ক ছিলেন এই মেসিই। ২০১৬-১৭ মৌসুমে আবারও দেখা হয় গুরু-শিষ্যের। এবার পেপ ছিলেন সিটির ডাগআউটে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের দুই খেলায় একটি হ্যাটট্রিকসহ মোট চার গোল করে আবারও সাবেক গুরুর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান মেসি।
চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্রতে একই গ্রুপে পড়েছে পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটি। মেসিকে যদি মূল স্কোয়াডে রাখেন মরিসিও পচেত্তিনো তবে আবারও দেখা হয়ে যেতে পারে পুরোনো গুরু-শিষ্যের। বলা হয়ে থাকে মেসির আকাশচুম্বী সফলতার পেছনে গার্দিওলার অবদান নেহায়েত কম নয়। আবার নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল সময়টা তিনি কাটিয়েছেন মেসিকে দলে নিয়েই। মেসিকে ছাড়া এখন পর্যন্ত একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিততে পারেননি স্প্যানিশ এই কোচ।
এআইএ/এনইউ