ফাতির স্বপ্নীল প্রত্যাবর্তনে বার্সার দুরন্ত জয়
বয়স মোটে ১৮। গা থেকে এখনো কৈশোরের গন্ধটাও তো কাটেনি ভালোমতো! তাতেই গায়ে চড়ে গেছে কিংবদন্তি লিওনেল মেসির ফেলে যাওয়া দশ নম্বর জার্সি। এতটুকু যদি যথেষ্ট না হয়, তাহলে যোগ করুন চোটের কারণে তার ৩২২ দিন মাঠের বাইরে থাকাটাকে। সব মিলিয়ে চাপটা কম ছিল না আনসুমানে ফাতির ওপর।
তবে সেটা যদি চাপ হিসেবেই নেবেন, তাহলে বার্সেলোনা তাকে দশ নম্বর জার্সির ভারটা দেবে কেন? তিনি মাঠে এলেন, প্রায় দশ মাস পর। দশ মিনিটের মাথায়ই কিনা করে বসলেন গোল! তাতে লেভান্তের বিপক্ষে বার্সার জয়টাও পেয়ে গেছে বাড়তি রঙ।
বিজ্ঞাপন
ফাতি মাঠে আসার আগেই অবশ্য বার্সার দিনটা কাটছিল স্বপ্নের মতো। কোচ রোনাল্ড কোম্যান ছিলেন না। এদিন তাই দায়িত্ব ছিল সহকারী কোচ অ্যালফ্রেড শ্রুডারের কাছে। তবে কোচের অভাবটা দলটা বুঝতেই পারেনি। শুরু থেকে দারুণ সংঘবদ্ধ আক্রমণ, মাঝমাঠের দখল, পাস অ্যান্ড মুভ কৌশলে দারুণভাবে স্পেস সৃষ্টি করা মনে করিয়ে দিচ্ছিল স্বর্ণসময়ের বার্সাকেই।
তারই একটা ঝলকে ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টিটা আদায় করে বার্সা। বাম প্রান্ত থেকে মেমফিস ডিপাই দারুণভাবে ঢুকে পড়েছিলেন প্রতিপক্ষ বিপদসীমায়। তাকে অবৈধভাবে রুখে দেন নেমানিয়া রাদোয়া। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় কাতালান দলটি।
এর মিনিট আটেক পর ব্যবধান বাড়ায় লা ব্লাউগ্রানারা। এদিন জর্দি আলবার অনুপস্থিতিতে বাম পাশে উইংব্যাকের দায়িত্বটা ছিল সার্জিনিও ডেস্টের কাঁধে। রক্ষণ সামলে আক্রমণে দারুণ সব পাসে কাজটা সারছিলেনও ভালোভাবেই। তারই পাস থেকে বার্সা পায় দ্বিতীয় গোলের যোগান। তার রক্ষণচেরা পাসে দারুণ এক ফিনিশে লুক ডি ইয়ং বার্সার জার্সি গায়ে পেয়ে যান প্রথম গোলটা, বার্সাও ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে তাতে।
এর আগে পরে বহুবার প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভেঙেছে বার্সা। কিন্তু মেসি-অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানদের অনুপস্থিতিতে সৃষ্টি হওয়া ফিনিশিংয়ের সমস্যা এদিনও দলটাকে তাড়া করে বেরিয়েছে সিন্দাবাদের ভূতের মতো। তাই ফাতির আগে গোলের দেখা আর পায়নি কাতালানরা।
এরপর ফাতি এলেন ৮১ মিনিটে। দলও যেন জিগসও পাজলের শেষ টুকরোটা পেয়ে গেল; অন্তত এদিনের জন্য তো বটেই। তিনি যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। তাতে বার্সার আশার পালেও লাগলো একরাশ দমকা হাওয়া। মেসি চলে যাওয়াতে গোলমুখে যে গোলের যোগানে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, নতুন দশ নম্বরের ফেরায় যদি তা কমে!
এনইউ