রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর জয়সূচক গোলেও ছিল তার যোগান/ইএসপিএন

শেষ সাত বছরে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ এই মেস্তায়ায় রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিল মাত্র একবার। তার ওপর আবার সোমবার রাতের ম্যাচেও ছিল এক গোলে পিছিয়ে। হারের শঙ্কায় থাকা দলটিকেই শেষমেশ আরও একবার রক্ষা করলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। শেষ চার মিনিটে গোল করলেন, করালেন; তাতেই রিয়াল মাদ্রিদ ভ্যালেন্সিয়াকে হারালো ২-১ গোলে।

লড়াইয়ের আভাসটা প্রথমার্ধেই পাওয়া যাচ্ছিল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের এই লড়াইয়ে রিয়ালকে বরং কিছুটা বিবর্ণই লাগছিল এদিন। 

প্রথমার্ধে দুই দলই পড়েছে চোটের কাটায়। ম্যাচের ঘড়ির কাটায় যখন ২৫ মিনিট গত হয়েছে, তখনই বদলির খাতায় চলে যায় তিন জনের নাম। ভ্যালেন্সিয়া অধিনায়ক কার্লোস সোলের আর টনি লাতো, রিয়ালের দানি কারভাহাল মাঠ ছাড়েন চোট নিয়ে। 

দুই প্রধান সারির খেলোয়াড়কে হারিয়েও ভ্যালেন্সিয়া যেন দমছিল না কিছুতেই। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখছিল রিয়াল রক্ষণকে। তবে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে রিয়াল রক্ষণ অন্তত প্রথমার্ধে গোল করতে দেয়নি ভ্যালেন্সিয়াকে।

তবে ম্যাচের বয়স যখন ৬৬ মিনিট, তখন ভাঙে দলের প্রতিরোধ। লুকাস ভাসকেজের ভুল থেকে বল চলে যায় হুগো দুরোর পায়ে, দারুণ এক শটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন তিনি।

মাঠটা যখন ভ্যালেন্সিয়া, তখন দুশ্চিন্তার তাড়া না খেয়েই যেন পারেন না কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি। শেষ আট মৌসুমে এই মাঠেই যে বহুবার ভেঙেছে দলের শিরোপার আশা! এক ২০১৭-১৮ মৌসুমে জয় বাদে বাকি সব মৌসুমেই ফিরেছে জয় ছাড়া। দুই ড্র বাদে হেরেছে বাকি চার ম্যাচেই। 

তবে ভিনিসিয়াস জুনিয়র থাকতে কোচের আর ভাবনা কেন? চলতি মৌসুমে আছেন আগুনে ফর্মে, শেষ চার মিনিটে দেখালেন তারই ঝলক। কিছুটা সৌভাগ্যও ছিল বৈকি। বাম পাশ থেকে ভিনিসিয়াসের শটটা দিক বদলে চলে যায় ভ্যালেন্সিয়ার জালে।

এরপর বেনজেমার জয়সূচক গোলেও হাত ছিল তার। তাতেও অবশ্য ছিল সৌভাগ্যের ছোঁয়া। ভিনিসিয়াসের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলেও ফরাসি ফরোয়ার্ডের কাঁধে লেগে বলটা অতিক্রম করে গোললাইন, ২-১ ব্যবধানে রিয়ালের জয়টাও নিশ্চিত হয় তখনই। 

এর ফলে অ্যাটলেটিকোকে টপকে ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে এসেছে মাদ্রিদ। দুইয়ে থাকা লুইস সুয়ারেজদের পয়েন্ট ১১। ভ্যালেন্সিয়া ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। আর সাত পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা আছে টেবিলের দশম স্থানে।

এনইউ/এইচকে