হারানোর মিছিল বাড়ছেই, তাই বলে তো অনুশীলন বন্ধ থাকবে না। তারই এক মুহূর্তে চলছে নেইমারের প্রস্তুতি/টুইটার

ফিফার অনুমতি আছে, তবু ইউরোপীয় ক্লাবগুলো ছাড়তে চাইছে না খেলোয়াড়। এমন পরিস্থিতিতে আগেই দশ জন খেলোয়াড় হারিয়েছে ব্রাজিল। কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাই আবারও মাঠে গড়াবে আগামীকাল থেকে। এর আগে আরও এক ‘ইউরোপীয় ক্লাবের চাওয়ায়’ আরও দুই খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে হলো ব্রাজিলকে।

করোনাকালে কোয়ারেন্টাইন জটিলতা মাথায় রেখে ফুটবলার না ছাড়ার ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ সহ আরও বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় লিগের দলগুলো। সে কারণেই ব্রাজিল কোচ তিতের ঘোষিত দল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্রেড, চেলসির থিয়াগো সিলভা, ম্যানচেস্টার সিটির এডারসন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস, এভারটনের রিশার্লিসন, লিডস ইউনাইটেডের রাফিনিয়া এবং লিভারপুলের অ্যালিসন, ফ্যাবিনিও, ও রবার্তো ফিরমিনো ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই। পর্তুগিজ লিগ থেকে দলে ডাক পাওয়া মাতিয়াস নুনেসও আসতে পারেননি একই কারণে।

সে দল থেকে এবার আরও দুই জনকে ছাড়তে হচ্ছে ব্রাজিল ক্যাম্প। খেলোয়াড় দুজন হলেন জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবুর্গের দুই ফুটবলার মালকম আর ক্লদিনিও। চিলির বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে ইতোমধ্যেই সান্তিয়াগোয় পৌঁছে গেছে দল, কিন্তু সেই দলে নেই এই দুই জন। 

জেনিথের সমস্যা অবশ্য ঠিক কোয়ারেন্টাইন নিয়েও নয়। বিশ্বকাপ বাছাই থেকে ফিরেই শিরোপাধারী চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মাঠে নামবে দলটি। এখনই ফিরে গেলে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেনে সেই ম্যাচে খেলতে পারবেন এই দু’জন, সে কারণেই তাদের ডেকে পাঠিয়েছে রাশান ক্লাবটি।

এর ফলে দলে ডাকা ৩৪ খেলোয়াড়ের মধ্যে কেবল ২২ জন অবশিষ্ট আছে কোচ তিতের হাতে। তবে এতসব না পাওয়া খেলোয়াড়ের ভিড়েও কোচ তিতে শক্তিশালী এক দলই মাঠে নামাবেন বলে ধারণা ব্রাজিলীয় সংবাদ মাধ্যমের। গ্লোবো জানাচ্ছে, আক্রমণভাগ নিয়ে একটু সমস্যা থাকলেও কোপা আমেরিকা ফাইনালের দলটার খুব কাছাকাছি কিছুই দেখা মিলবে এই ম্যাচে।

ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের সবক’টা ম্যাচেই জিতেছে। আছে টেবিলের শীর্ষেও। আগামীকাল চিলির বিপক্ষে খেলার পর দলটি আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর। এরপর পেরুর বিপক্ষে নয় সেপ্টেম্বর চলতি আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোতে সবশেষ ম্যাচটা খেলবে দলটি।  

যে ২২ জন খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন কোচ তিতে-
গোলরক্ষক- ওয়েভারটন (পালেমেইরাস), সান্তোস (অ্যাথলেটিকো), এভারসন (অ্যাটলেটিকো এমজি)।
ডিফেন্ডার- মারকিনিয়োস (পিএসজি), এডার মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), লুকাস ভেরিসিমো (বেনফিকা), মিরান্দা (সাও পাওলো), দানিলো (জুভেন্তাস), অ্যালেক্স সান্দ্রো (জুভেন্তাস), গিলের্মে আরানা (অ্যাটলেটিকো এমজি), দানি আলভেস (সাও পাওলো)।
মিডফিল্ডার- ব্রুনো গিমারেস (লিওঁ), ক্যাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ), এভারটন রিবেরিও (ফ্ল্যামেঙ্গো), লুকাস পাকেতা (লিওঁ), গারসন (অলিম্পিক), এডেনিলসন (ইন্টার)।
স্ট্রাইকার- নেইমার (পিএসজি), মাতিয়াস কুনিয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), গাবিগোল (ফ্ল্যামেঙ্গো), হাল্ক (অ্যাটলেটিকো এমজি), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।
চিলির বিপক্ষে সম্ভাব্য একাদশ-
ওয়েভারটন
দানি আলভেস, এডার মিলিতাও, মারকিনিয়োস, অ্যালেক্স সান্দ্রো;
ক্যাসেমিরো, ব্রুনো গিমারেস, লুকাস পাকেতা;
নেইমার, গ্যাবিগোল, মাতিয়াস কুনিয়া।

এনইউ/এটি