বেটিং ও ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা, খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আরামবাগ ক্লাবকেও শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আগামী দুই মৌসুম সিনিয়র ডিভিশন লিগ খেলতে হবে এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে বাফুফেকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। বাফুফের এই দুই সিদ্ধান্তের বিপরীতে আজ (বুধবার) আরামবাগ ক্লাব আপিল করেছে ফুটবল ফেডারেশনে।
 
আরামবাগ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আজ বিকেলে আমাদের ক্লাবের ম্যানেজার ফেডারেশনে আপিলের চিঠি জমা দিয়েছে। আমরা আশা করি আপিল কমিটি আমাদের আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে দেখবে।’ 

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘অপরাধ করেছে কয়েকজন লোক এজন্য ক্লাবকে এভাবে শাস্তি দেওয়া খুব সমীচীন নয়। ফেডারেশনের শাস্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তারা দোষীদের শাস্তি দিয়েছে। ব্যক্তির জন্য তো সংগঠন ভুগতে পারে না। আমরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আবেদন করেছি।’
 
আরামবাগ ক্লাব আর্থিক সংকটের জন্য মিনহাজ ইসলামকে সভাপতি করেছিল। সে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই আরামবাগ বেটিং, ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত হয়। আরামবাগ ক্লাবের বর্তমান কমিটি মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ‘আমরা অবশ্যই মিনহাজের বিরুদ্ধে কঠিন মামলা করব। আশা করি রাষ্ট্রীয় আইনে এটি বিচার হয়ে ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’ 

ফিক্সিং ও বেটিংয়ে জড়িত থাকায় বাফুফে দশের অধিক ফুটবলারকেও কয়েক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। সেই ফুটবলারদেরও আপিল করার কথা রয়েছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ইতোমধ্যে এই ফুটবলারদের শাস্তি লাঘবের জন্য সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন আলাপ করেছেন। 

এজেড/এমএইচ