লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক শিরোপা জয় শেষ পর্যন্ত ছাপিয়ে গিয়েছে সবকিছুকে। যদিও আর্জেন্টিনার এই শিরোপা জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তরুণ ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোরও। যদিও খুব একটা আলোচনায় ছিলেন না এই ফুটবলার। মেসির ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন সবাই। 

সম্প্রতি ৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ৫০০ কোটি টাকায় ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তা ছেড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিয়েছেন তিনি। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকারা যখন নাম মাত্র ট্রান্সফার ফি অথবা ফ্রি ট্রান্সফারে দলবদল করছেন। তখন জুভেন্তাসের সাইডলাইনে দীর্ঘ সময় পার করা এই ডিভেন্ডারের পেছনে টটেনহ্যাম কেন এত অর্থ খরচ করল এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে দুই বছর পেছনে।

২০১৯ সালে ইতালিয়ান ক্লাব গেনোয়া থেকে ২৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রোমেরোকে দলে টানে জুভেন্তাস। জর্জিও কিয়েলিনি, লিওনার্দো বোনুচ্চি এবং মাথিজস দে লিগটের উপস্থিতিতে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া একরকম অসম্ভবই ছিল তার জন্য। জুভেন্তাসের প্রথম একাদশে সহজে সুযোগ পাবেন না উপলব্ধি করতে পেরে নিজের অ্যাজেন্টকে নতুন একটি দল খুঁজে দিতে বলেন এই আর্জেন্টাইন। 

রোমেরোর প্রতি অনেকগুলো দল আগ্রহ দেখালেও রোমেরো মনেপ্রাণে চাচ্ছিলেন আতালান্তায় যোগ দিতে। কারণটা আর কেউ নন দলটির কোচ জিয়ান পিয়েরো গ্যাসপেরিনি। গেনোয়ায় থাকতে নিজের সতীর্থদের কাছে প্রচুর প্রশংসা শুনেছিলেন ইতালিয়ান এই কোচের। আতালান্তায় যোগ দিয়ে নিজেই বুঝতে পারলেন কোচ হিসেবে কেন এত নামডাক সাবেক এই ইতালিয়ান ফুটবলারের। 

ইতালিয়ান গণমাধ্যম দ্যা গ্যাজেট্টাকে রোমেরো বলেন, ‘তার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমার টেকনিক্যাল ভুলগুলো ছিল ভয়ানক। আমি সত্যি বলতে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।’

ইতালিয়ান এই কোচ এক কথায় বদলে দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইনের জীবন। গতবছর আতালান্তায় চমৎকার মৌসুমের পেছনে অবদান ছিল তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের। নজর কাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে এবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লিগে সুযোগ পেলেন জুভেন্তাসের অবজ্ঞার শিকার হওয়া এই ডিফেন্ডার। 

এআইএ/এমএইচ