নাটক শেষ হলো। দলবদলের মৌসুমের গেল কয়েক ঘণ্টা নিশ্চয়ই মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমিদের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুভেন্তাস ছাড়তে চান, এটা নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। কিন্তু কোথায় যাবেন তিনি? কখনো ম্যানচেস্টার সিটি, কখনো শোনা যাচ্ছিল রোনালদোর পুরোনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম। 

অবশেষে সবকিছুর অবসান হয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই যাচ্ছেন রোনালদো। জুভেন্তাস থেকে তাকে নিজেদের দলে ফিরিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।

এক ‍বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আনন্দের সঙ্গে নিশ্চিত করছে রোনালদোর দলবদলের ব্যাপারে জুভেন্তাসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখন কেবল ব্যাক্তিগত ব্যাপার, ভিসা ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি।’

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই ইতালির তুরিন ছেড়েছেন রোনালদো। বিদায় বলেছেন জুভেন্তাসের সতীর্থদেরও। এখন কেবল ম্যানচেস্টারে ফিরে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাকি তার। 

ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ ফ্যাব্রিসিও রোমানো বলছেন, রোনালদোকে দলে ভেড়াতে ম্যান ইউর খরচ হয়েছে প্রায় ২০ মিলিয়ন ইউরো। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২০০ কোটি। রোনালদোর জুভেন্তাস ছাড়ার পর থেকেই তাকে দলে ভেড়ানোর দৌড়ে শোনা যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটির নাম।

কিন্তু হুট করেই হয় বাঁক বদল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ওলে গানার শোলশার জানান, রোনালদোর জন্য আগ্রহী তারাও। এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রোনালদোর অ্যাজেন্ট জর্জে মেন্ডিজের সঙ্গে সব আলাপ শেষ করল ম্যান ইউ। পর্তুগিজ তারকাকে ফেরানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিলো তারা। 

রোনালদো এর আগেও খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ২০০৩ সালের ১২ আগস্ট ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে চলে যান স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। তার আগে ম্যান ইউর জার্সিতে ২৯২ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল করেছেন তিনি।

রিয়ালে গিয়ে নিজেকে বিশ্বসেরাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন রোনালদো। পরে ২০১৭ সালে স্প্যানিশ ক্লাব ছেড়ে পাড়ি জমান ইতালির ক্লাব জুভেন্তাস। সেখানে অবশ্য খুব একটা সাফল্য পাননি পর্তুগিজ তারকা। অবশেষে তিন বছর জুভেন্তাসে কাটিয়ে আবারও নিজের পুরোনো ঘর ম্যান ইউতে ফিরলেন তিনি। 

ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি মেজর ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, ইতালি, স্পেন ও ইংল্যান্ডে আলাদা ক্লাবের হয়ে সাতবার জিতেছেন লিগ শিরোপা। এছাড়াও জিতেছেন পাঁচটি ব্যালন ডি অর। 

এমএইচ