লুকাকুর রাজকীয় ‘প্রত্যাবর্তনে’ আর্সেনালকে হারাল চেলসি
প্রিমিয়ার লিগে তার ‘কিক অফ’ হয়েছিল চেলসির জার্সি গায়ে চড়িয়ে। তবে তখনই থিতু হতে পারেননি দলে। ওয়েস্ট ব্রম আর এভারটনে ধারে খেলেছেন কিছুদিন, এভারটন পরে কিনেই নিয়েছিল তাকে। এরপর গিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, সেখান থেকে ইন্টার মিলানে গিয়ে নিজেকে যেন নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন। এরপরই আবার ফিরেছেন চেলসিতে।
লন্ডন ডার্বি দিয়ে হলো লুকাকুর ‘অভিষেক’। এবার পেলেন চেলসির জার্সি গায়ে প্রথম গোলের দেখাও। তার কীর্তির দিনে আর্সেনালের বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ এক জয়ই পেয়ে গেছে চেলসি।
বিজ্ঞাপন
মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখেছে আর্সেনাল। প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে হেরেছিল ব্রেন্টফোর্ডের কাছে, এবার চেলসির কাছে এই হার দলটিকে দিয়েছে বিরল এক বিস্বাদ। লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ যুগে তৃতীয়বারের মতো চেখে দেখল দলটি।
তবে ম্যাচের শুরুতে ব্রেন্টফোর্ড দুঃস্মৃতি তাড়ানোর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল আর্সেনাল। ম্যাচে সময় যতই গড়াতে থাকে, গানাররাও রঙ হারাতে থাকে একটু একটু করে। আর্সেনালকে সাঁড়াশি আক্রমণে চেপে ধরে চেলসি। সেই থেকেই ১৫ মিনিটে এল প্রথম বড় সুযোগটা। লুকাকুর কল্যাণে তাতেই হলো গোল। রিস জেমসের ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলটি করে বসেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।
সেই যে শুরু, আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি চেলসিকে। প্রথম গোলের যোগানদাতা জেমস ৩৫তম মিনিটে নিজেও লক্ষ্যভেদ করেন। মার্কোস আলনসোর কাছ থেকে পাওয়া বলে মেসন মাউন্ট পাস বাড়ান জেমসকে, তা থেকেই দারুণ এক প্লেসমেন্টে গোলটি করেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। বিরতির আগেই দুই গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির পরও আর্সেনাল ছিল প্রথমার্ধের মতোই বিবর্ণ। ৭৬ মিনিটে লুকাকুর হেডার আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্ন্ড লেনোর হাত ছুঁয়ে লেগেছে ক্রসবারে। এর দশ মিনিট পর কাই হ্যাভার্টজও মিস করে গেছেন সুবর্ণ সুযোগ, নাহয় আর্সেনালের দুর্দশাটা আরও বাড়তেই পারত।
এদিকে আর্সেনালও শেষ দিকে মরণকামড় দেওয়ার মতো মনোভাবই দেখায়নি। রেগে মেগে সমর্থকরা মাঠ ছাড়েন খেলা শেষের আগেই। ২-০ গোলের জয়ে শেষ হাসিটা হাসে চেলসি।
এনইউ