আনহেল ডি মারিয়া/ফাইল ছবি

৪০ দিনের এদিক ওদিক। ব্রেস্তের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে আনহেল ডি মারিয়ার সবশেষ ম্যাচটা ছিল কোপা আমেরিকার ফাইনাল। যেখানে তার একমাত্র গোল ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল ফাইনালের, তাতে ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘুচে যায় আর্জেন্টিনার।

সেই কোপা ফাইনালের ৪০ দিন পর নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেন পিএসজির হয়ে। নেমেই করলেন এমন এক গোল, যা দেখতে সেই কোপা ফাইনালের গোলের মতো। 

ডি মারিয়া অবশ্য শুরুর একাদশেও ছিলেন না ব্রেস্তের বিপক্ষে। মাঠে এসেছিলেন কিলিয়ান এমবাপের বদলি হয়ে, রেফারির ঘড়িতে যখন বাকি আর মাত্র নয় মিনিট, দল এগিয়ে ৩-১ গোলে।

তখনই স্বাগতিক ব্রেস্ত করে বসে এক গোল, তাতে পিএসজির পূর্ণ তিন পয়েন্ট পড়ে যায় শঙ্কায়। ডি মারিয়ার সেই গোল সব অনিশ্চয়তা শেষ করে দেয় ম্যাচের। ৪-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর এক জয় পায় পিএসজি। 

তবে তার গোলের চেয়ে বেশি গোলের ধরনটা নজর কাড়ছে। প্রতি আক্রমণে বল নিয়ে উঠে এসে ডি মারিয়া পাস দেওয়া নেওয়া করেন সতীর্থ আশরাফ হাকিমির সঙ্গে। রাইটব্যাকের ফিরতি বলটা বক্সের ভেতর পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন জালে।

এমন গোল তো হরহামেশাই হয়ে থাকে। তবে এ গোলের আলাদা করে নজর কাড়ার কারণ, কোপা ফাইনালের গোলটা। সে ম্যাচেও যে রদ্রিগো ডি পলের বাড়ানো লং বলটা একইভাবে জালে পাঠিয়েছিলেন। 

তবে ডি মারিয়ার মতো ভাগ্যটা অত সুপ্রসন্ন হয়নি পিএসজির আরেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দির। ৮৬ মিনিট খেলে গোলের দেখা পাননি, ম্যাচে তার যাত্রা শেষ হয়েছে চোট নিয়ে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে ডাক পাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল তার, যা শেষ হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে। 

এদিকে পিএসজির আরও দুই আর্জেন্টাইন ছিলেন না স্কোয়াডেই। লিওনেল মেসি আর লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে এ ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দিয়েছেন দলটির আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো।

এনইউ