রোমাঞ্চকর এক লড়াই জিতে মৌসুম শুরু করল চেলসি। উয়েফা সুপার কাপে ভিয়ারিয়ালকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে তারা। ঘরে তুলেছে শিরোপা। প্রতি মৌসুম শুরুর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে হয় এই ম্যাচ।

নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র ছিল খেলা। হাকিম জিয়াখের গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে জেরার্ড মরেনো সমতা ফেরান ভিয়ারিয়ালকে। অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল না হলেও ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে চেলসির বদলি গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগার নৈপুন্যে ৬-৫ গোলে জিতেছে চেলসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় ইংলিশ ক্লাবটি। বল দখলে রাখে প্রায় ৮০ শতাংশ সময়। ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক থেকে কাই হাভার্টজের বাড়ানো পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াখ।

কর্নারে টিমো ওয়ার্নারের শট লাফিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এনগোলো কন্তের দূর থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে আরেক দফা বেঁচে যায় ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে তাদেরকে বেশ চাপে রাখে চেলসি। 

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই ঘুরে দাঁড়ায় স্প্যানিশ দলটি। এই অর্ধের শুরুতে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ৭৩তম মিনিটে জাল খুঁজে পায় তারা। জিয়ার ব্যাকপাস পেয়ে জোরালো উঁচু শটে সমতা টানেন জেরার্ড মরেনো।

এরপর খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও কোনো গোল হয়নি। টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম পাঁচ শটেই গোল পায় দুই দল। ছয় নম্বর শটেও সফল হয় চেলসি ও ভিয়ারিয়াল। চেলসির সাত নম্বর শটটি আন্টোনিও রুডিগার জালে পাঠানোর পর ভিয়ারিয়ালের রাউল আলবিওলের শট রুখে দেন চেলসির বদলি গোলরক্ষক কেপা। তাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে চেলসি। 

এমএইচ