লিওনেল মেসির সঙ্গে তিন সপ্তাহ আগেই চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এরপর ছুটিতে ছিলেন, ফিরতেই যেন আরেকটা ঝড় বয়ে গেল বার্সার ওপর। লা লিগার বেঁধে দেওয়া নিয়মের বেড়াজালে আটকে গেছে মেসির চুক্তি নবায়ন। বার্সাও জানিয়ে দিয়েছে, মেসিকে ধরে রাখা যাচ্ছে না আর। 

তবে বার্সার এমন ফেসবুক বিবৃতিকে স্প্যানিশ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম দেখছে বার্সেলোনার কূটকৌশল হিসেবে। স্পোর্তের বার্সেলোনা বিষয়ক প্রতিবেদক টনি হুয়ানমার্তি জানাচ্ছেন এমন কিছু, লা লিগা টিভির ধারাভাষ্যকার অ্যান্ডি ওয়েস্ট থেকে শুরু করে সদ্য লা লিগা বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক দলে যোগ দেওয়া গ্যারি লিনেকার, সবাই বলছেন। 

তাদের কথা, বার্সেলোনার এমন বিবৃতি দিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষকেই ফেলতে চাইছে চাপে। যাতে করে লিগ কর্তৃপক্ষ সিভিসির সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসে৷ সঙ্গে বেতনের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধও শিথিল করে। 

বিষয়টা যৌক্তিক কিনা, এমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্সেলোনার সেই বিবৃতি। যেখানে যা বলা হয়েছে, তার সারমর্মটা হলো, মেসি ও ক্লাব দুই পক্ষই নতুন চুক্তির বিষয়ে রাজি ছিল। কিন্তু বাঁধ সেধেছে লা লিগার বেঁধে দেওয়া নিয়ম। আর এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়েছে একাধিকবার। যার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে এই গুঞ্জন। ধারণা করা হচ্ছে লিগ কর্তৃপক্ষকে চাপে ফেলার জন্যই এ কাজ করেছে কাতালান ক্লাবটি। 

তবে বিষয়টা নেহায়েতই মতামত, নাকি এর কোনো সুনির্দিষ্ট ভিত্তিও আছে, সেটা এখনো অজানা। আর কিছুক্ষণ পরেই বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। পুরো বিষয়টা এখন কোথায় অবস্থান করছে, ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর যাওয়া নিশ্চিত কিনা, নাকি তাকে ফেরানোর একটা সুযোগ আছে, সেটা জানা যাবে সেই সংবাদ সম্মেলনেই।

এনইউ/ওএফ