মেসি জানতেন, শিরোপা আসবেই
২৮ বছরের প্রতীক্ষা শেষে আর্জেন্টিনা জিতেছে লাতিন আমেরিকান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি। দলের পাশাপাশি আক্ষেপ মিটেছে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। ২০০৫ সালে প্রথমবার আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ১৬ বছর দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেসি, তবে বৈশ্বিক কোনও শিরোপা ছোঁয়া হচ্ছিল না। আজ (রোববার) ব্রাজিলকে ১-০ গোলের ব্যবধান হারিয়ে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়ে মেসি বললেন, তিনি জানতেন, শিরোপা আসবেই।
মেসি জনালেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে কিছু অর্জনের জন্য একটি শিরোপার প্রয়োজন ছিল আমার। অনেক বছর ধরেই আমি এই প্রাপ্তির খুব কাছেই ছিলাম। আমি জানতাম, একটা সময় এই জায়গায় বদল আসবে, এমনটি (শিরোপা জয়) ঘটতে যাচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
আক্ষেপ ছিল মেসি জাতীয় দলের হয়ে কিছুই জিততে পারেন না। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ। ফাইনালে উঠলেও সঙ্গী হয়েছে দ্বীর্ঘশ্বাস। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে গেলেও বিশ্বকাপ জিততে পারেননি মেসি। এছাড়াও কোপা আমেরিকায় ২০০৭ সালে তরুণ মেসির সঙ্গে ছিল হার্নান ক্রেসপো, কার্লোস তেভেজ, রিকুয়েলমে, পাবলো আইমার, দারুণ একটা দল। দাপট দেখিয়ে ফাইনালেও উঠে আসে তারা। কিন্তু ট্রফি সামনে নিয়ে খেলতে নেমে ব্রাজিলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ!
২০১১ সালের কোপার আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লোস তেভেজের টাইব্রেকার ট্র্যাজেডি। ২০১৫ ও ২০১৬ দুটি ফাইনালে আলবিসেলেস্তেদের আক্ষেপ বাড়ায় চিলি। এবার শিরোপা জিতে স্বস্তির ঢেকুর তুলে মেসি জানালেন, এর চেয়ে ভালো কোনো মুহূর্ত হতে পারে না।
ফাইনাল জয়ের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেসি বলেন, ‘অনেকবার এটার স্বপ্ন দেখেছি। যে আনন্দ আমি অনুভব করছি তা পাগলাটে, অবর্ণনীয়। অনেকবারই আমাকে বিষাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। আমি জানতাম যে, আমার সঙ্গে এমন কিছু ঘটবে, যেটার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো মুহূর্ত হতে পারে না। এই দলের এই অর্জন সত্যিই প্রাপ্য।’
আরও জানান মেসি, ‘আমার পরিবার, স্ত্রী, সন্তান, বাবা, আমার ভাইয়েরা যারা অনেক ভুগেছে, আমার মতো বা এর চেয়ে বেশি। তাদেরকে আমি এই শিরোপা উৎসর্গ করতে চাই। এতদিন কোনো কিছু না জিতেই আমরা ঘুরতে যেতাম, বিষন্ন কতগুলো দিন কাটাতাম। তবে এবার সময়টা ভিন্ন।’
টিআইএস