ব্রাজিলের মাটিতে ইতিহাস গড়ে আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে মেসির
এর আগে ২টি বিশ্বকাপ ও ১৪টি কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের ইতিহাস ছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের। তবুও একটি ট্রফির জন্য অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছিল না। ২৮ বছর বড় কোনও টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পায়নি আর্জেন্টিনা। কয়েকবার ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয় দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির। অবশেষে সে আক্ষেপ ঘুচেছে। ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকেই হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছে তারা।
১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এবারই প্রথমবারের মতো বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা ছুঁয়ে দেখলেন মেসি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জেতার পর মেসি জানান, ‘আমরা খুবই খুশি, উদযাপন করছি। এই ম্যাচটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে, ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল জয়ের জন্য।’
বিজ্ঞাপন
কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে উচ্ছ্বাস করলেও এই ট্রফিতেই সাফল্য আটকে রাখতে চান না মেসি। জানিয়েছেন, দলের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা রেখে সামনে দিকে আগাতে চান তিনি। মেসি বলেন, ‘আমি ওদেরকে (সতীর্থদের) বলেছিলাম যে ওরা জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ এবং আমি ভুল ছিলাম না, এই ট্রফি জিতে ওরা আমাকে দেখিয়েছে।‘
আর্জেন্টিনার জয়সূচক একমাত্র গোলটি এসেছে ডি মারিয়ার পা থেকে। ফাইনালে মাঠে নামার আগে তাকে তাঁতিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। জয়ের পর আর্জেন্টাইন সুপারস্টার বলেন, এই জয়ের আনন্দ তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান, যারা অতীতে আর্জেন্টিনা দলের হয়ে অবদান রেখেছেন। যারা এখন দলে নেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেসি।
সংবাদমাধ্যমকে মেসি বলেন, ‘আমি ডি মারিয়াকে বলেছিলাম, সে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাবে। সৌভাগ্যবশত সে গোলটি করেছে, আমাদের জয় এনে দিয়েছে। এটা আমি সেই সতীর্থদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে চাই, যারা এখন দলে নেই।’
সঙ্গে আরও জানান তিনি, ‘আমরা বেশ কয়েকবার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম এবং তখন সম্ভব হয়নি। এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়াটা তাদেরও প্রাপ্য, আমি জানি তারা আমাদের জন্য আনন্দিত, আর্জেন্টিনার জন্য আনন্দিত। তাদের সাথে এটি ভাগাভাগি করতে চাই, কারণ জাতীয় দলের জন্য তারাও অনেক অবদান রেখেছে। এই শিরোপা আমাদের অনেক বছরের কষ্টের ফল।’
টিআইএস