চলতি ইউরোয় স্পেন নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ছিল জয়বঞ্চিত। রীতিমতো শঙ্কায় ছিল দলটির নকআউটে আসা নিয়েও। কিন্তু সেই স্পেনই খেলছে এখন সেমিফাইনাল। শেষ চারে প্রতিপক্ষ এমন এক ইতালি দল, যা কেউ দেখেনি আগে। এমন এক দলের মুখোমুখি হয়ে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বেশ সতর্কতাই অবলম্বন করছেন। 

ইউরো হবে আর দুই দলের সাক্ষাৎ হবে না, এমন যেন হয়ই না। এ নিয়ে দশমবারের মতো কোনো মেজর টুর্নামেন্টে একে অপরের বিপক্ষে খেলতে নামছে দুই দল। ইউরোয় এটি দুই দলের সপ্তম লড়াই। শেষ চার আসরে এটি চতুর্থ।

শেষ দেখায় স্পেনকে বিদায় করে পরের রাউন্ডে পা রেখেছিল ইতালি। এর আগে ২০০৮ আর ২০১২ সালে হারিয়েছিল দলটাকে। 

তবে সেই সব দলের সঙ্গে এই দলের পার্থক্যটা যেন আকাশ আর পাতালের। কোচ রবার্তো মানচিনির অধীনে এই ইতালিকে স্পেন কোচ এনরিকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতেই। 

বললেন, ‘এই ইতালি দলটা সম্ভবত আমরা বিগত বছরগুলোয় যেমন ইতালিকে দেখে এসেছি, তার চেয়ে আলাদা। যারা রক্ষণে বসে থাকত, আর পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় তার অপেক্ষা করত।’

বলবেনই না কেন? স্পেনের পর এই ইতালিই যে চলতি ইউরোয় বলের দখল রেখেছে বেশি! দুই দলই খেলে ৪-৩-৩ ছকে। যেখানে মাঝমাঠ তো বটেই, প্রতিপক্ষ বক্সের একটু সামনে ‘জোন ১৪’ এ আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে নামে মাঠে। তবে ছোটখাটো কিছু কৌশলগত পার্থক্যই আলাদা করেছে দুই দলকে।

স্পেনের পাসিং, প্রেসিংয়ের গতি যেমন ধীরলয়ের, এই ইতালি আবার ছোট ছোট, অথচ দ্রুতলয়ের পাসিংয়ে আক্রমণে উঠতে পছন্দ করে। আজ্জুরিদের একাদশের খেলোয়াড় আর বেঞ্চের গভীরতা দুটোতেই স্পেনের চেয়ে বেশি। 

কোচ এনরিকেও প্রতিপক্ষের গুণমান নিয়ে বেশ সতর্ক। বললেন, ‘এই ইতালি দলটায় বেশ কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে যারা বলের দখল রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামে। ‘বলের দখলে জিতবে কে’ এটাই হবে প্রথম লড়াইটা। আমার মনে হয় না দুই দলই আধিপত্য রাখতে পারবে। এই লড়াইয়ে কে জেতে সেটা দেখা বেশ মজাদারই হবে।’

দলে বেশ কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় থাকার পরেও বিভিন্ন সময় বড় দলগুলোর মুখ থুবড়ে পড়ার নজির ইতিহাসে আছে অনেক। তবে এই ইতালিকে সেই সব দলের চেয়ে আলাদা করে তোলে তাদের একতা। 

তবে দুই দলের সাদৃশ্য যেমনই হোক, ইতালিই যে এগিয়ে আছে তা বলাই বাহুল্য। শেষ ৩২ ম্যাচ ধরে অপরাজিত, আর শেষ ১৩ ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো ফল পায়নি দলটি। স্পেনের জন্য আজ তাই কঠিন এক পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।

এনইউ/এমএইচ/এটি