মেসি ও নেইমার/ফাইল ছবি

কোপা আমেরিকায় ছুটে চলেছেন নেইমার, তার কল্যাণে ছুটে চলেছে ব্রাজিলও। তাদের এই দুরন্ত পথচলা এবার গিয়ে ঠেকেছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে। শেষ চারের প্রথম লড়াইয়ে নিজের মুহূর্তের এক ঝলকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন নেইমার। এবার তিনি জানিয়েছেন ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেই চান প্রতিপক্ষ হিসেবে।

পেরুর বিপক্ষে কোচ তিতের শিষ্যরা খেলেছেন দারুণ। জয়সূচক গোলটা এসেছে প্রথমার্ধে, তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে দলটা করতে পারত আরও দুটো গোল। সেসব হয়নি। তবে বিরতির পর দলটা ধুঁকেছেও বেশ, তাতে অবশ্য গোল হজম করতে হয়নি। ১-০ গোলের জয়ে ব্রাজিল উঠে গেছে টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা ফাইনালে।

নেইমার পুরো ম্যাচেই ছিলেন সপ্রতিভ। বাম পাশ থেকে এভারটন সোয়ারেস, মাঝে থাকা রিশার্লিসন, ও মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া ছিল তার, যার ফল প্রথমার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমণে পেয়েছে তিতের দল। 

একমাত্র গোলটাও এসেছে তার মুহূর্তের ঝলক থেকেই। পাকেতা থেকে পাওয়া বলটা নিয়ে নেইমার ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষ বিপদসীমায়। সেখানে তাকে চার ডিফেন্ডার ঘিরে ধরলেও দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল রাখেন নিজের আয়ত্তে। এরপর সুযোগ বুঝে পাস বাড়ান সতীর্থ পাকেতাকে। তার দারুণ শটেই আসে ম্যাচের একমাত্র গোল। নিশ্চিত হয় ফাইনাল। ম্যাচজুড়ে দারুণ ফুটবলের প্রদর্শনী সাজিয়ে বসা পিএসজি তারকা জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার, টানা দ্বিতীয় ম্যাচের মতো। 

‘মারাকানার সে ফাইনালে কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চান?’ এমন এক প্রশ্নের জবাবে নেইমার অকপটে জানান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কথা। তবে কারণটা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানো নয়, আর্জেন্টিনায় থাকা বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। আর্জেন্টিনায় খেলেন তার পুরনো বন্ধু লিওনেল মেসি। পিএসজি সতীর্থ আনহেল ডি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস তো আছেনই। এই করোনাকালে খেলার উছিলায় যদি তাদের সঙ্গে দেখা হয়েই যায়, ক্ষতি কী! 

নেইমার বললেন, ‘আর্জেন্টিনায় আমার অনেক বন্ধু আছে। এ কারণে ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে চাই আমি। তবে ম্যাচটা অবশ্য ব্রাজিলই জিতবে।’
আগামী ১১ জুলাই এস্তাদিও দে মারাকানায় ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ হবে আগামীকাল সকালে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জিতে আসা আর্জেন্টিনা কিংবা কলম্বিয়ার কোনো এক দল।

এনইউ/এটি/জেএস