আর্জেন্টিনা বৈশ্বিক শিরোপা জিততে পারেনি দীর্ঘদিন। সমর্থকদের ভাবনা, লিওনেল মেসির হাত ধরেই সেই আক্ষেপ মিটবে। তবে ২০০৫ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া মেসি ১৬ বছরেও দেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে পারেননি। অভিযোগ আছে কোনও টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে উঠলেই নিষ্প্রভ হয়ে যান মেসি। সে অভিযোগ আসলে কতটুকু সত্য? পরিসংখ্যান অবশ্য মেসির হয়েই কথা বলছে। যেখানে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওকেও ছাড়িয়ে গেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টের ফাইনালে গিয়েও একরাশ হতাশা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। বিশ্বকাপ হোক বা উপমহাদেশীয় টুর্নামেন্ট, নক-আউট পর্বে গেলেই খেই হারিয়ে বসে ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পরিসংখ্যান বলছে, দল ব্যর্থ হলেও নকআউট পর্বে দুর্বার মেসি। বড় টুর্নামেন্টে গোল করা আর করানোর দিক বিবেচনায় রেকর্ড বইয়ের রাজা তিনি।

বড় টুর্নামেন্ট বলতে ধরা হয় বিশ্বকাপ আর উপমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপকে। যেমন ইউরো কাপ, কোপা আমেরিকা আর এশিয়ান কাপের মতো টুর্নামেন্ট। এসব প্রতিযোগিতায় নকআউট পর্বে ২০ গোলে অবদান রেখে সবার ওপরে আছেন মেসি। চলমান কোপা আমেরিকায় শেষ আটে ইকুয়েডোরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওকে। এ ম্যাচে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা। মেসি নিজে এক গোল করেন, সহায়তা করেন বাকি দুটিতেও।

নকআউট পর্বে যে ২০টি গোলে অবদান রেখেছেন মেসি, তার মধ্যে তিনি নিজে গোল করেছেন ৫টি, করিয়েছেন ১৫টি। রোনালদো নাজারিওর ১৭ গোলে অবদানের মধ্যে তিনি গোল করেছেন ১৩টি, করিয়েছেন ৪টি। যদিও মেসির এই নকআউট পর্বে গোলের প্রায় সবই এসেছে কোপা আমেরিকায়। এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ মাঠে নেমেও নকআউট পর্বে কোনো গোল করতে পারেননি মেসি, গোল করিয়েছেন শুধু তিনটি।

মেসি ও রোনালদোর পর এই তালিকায় আছেন বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ ফরাসি ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমান, তার গোলে অবদান ১৩টি। যেখানে নিজে করেছেন ৮টি, করিয়েছেন ৫টি। তালিকার পরের নামটি সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসার। তিনি নকআউট পর্বে ১১ গোলে অবদান রেখেছেন।


টিআইএস/এটি