একমাত্র গোলটা আসে রাহিম স্টার্লিংয়ের পা থেকে/গোল ডট কম

শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল ইংলিশরা। শুধু মিলছিল না গোলের দেখা। দ্বিতীয়ার্ধে সে পরম আরাধ্য গোলটা দলকে পাইয়ে দিলেন রাহিম স্টার্লিং। আর তাতে ক্রোয়েশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০-এ শুভসূচনা করল ইংল্যান্ড। গড়ল ইতিহাসও!

এই দলে খেলে গেছেন গ্যারি লিনেকার, ওয়েইন রুনি, পল স্কলস, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, স্টিভেন জেরার্ডদের মতো খেলোয়াড়। তাদের নিয়েও যে কীর্তি গড়তে পারেনি ইংল্যান্ড, সেটাই গড়েছে আজ। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে প্রথমবারের মতো নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতল থ্রি লায়ন্সরা।

ম্যাচের আগে অবশ্য আরেকটা রেকর্ড গড়েছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। ইংলিশ কোচ তার প্রথম একাদশে রাখেননি মার্কাস র‍্যাশফোর্ড, আর জর্ডান হেন্ডারসনদের কাউকেই। ফলে ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর লিভারপুল খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নামে ইংলিশরা।

ইতিহাসের অভিশাপ ভাঙতে গেলে বুঝি এমনই সব অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়! সেই র‍্যাশফোর্ডের জায়গায় দলে এসেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। তিনিই তো করলেন বাজিমাতটা! ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ক্যালভিন ফিলিপসের বাড়ানো দারুণ ডিফেন্সচেরা পাসটা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জড়ান জালে। সেই গোলেই তো নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের ইতিহাস গড়া জয়টা!

দলকে এগিয়ে দেওয়া মহামূল্য গোল। স্টার্লিংয়ের উল্লাস তো বাধনহারা হবেই/ইউরো

এর আগে থেকেই অবশ্য দুই দলের লড়াইয়ে শ্রেয়তর দল ছিল সাউথগেটের শিষ্যরা। প্রথম থেকেই ৪-১-৪-১ ছকে খেলতে থাকা ইংলিশরা ত্রাস ছড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ গোলমুখে। তার কৃতিত্বের প্রায় সিংহভাগই যাবে প্রথম গোলের যোগানদাতা ফিলিপসের ভাগে। রক্ষণের ঠিক সামনে ছিলেন ডেকলেন রাইস, তার সামনে ছিলেন ফিলিপস আর মেসন মাউন্ট।

তবে মাঝমাঠের দখলটা ইংল্যান্ড নিয়েছিল ফিলিপসের কল্যাণেই। লিডস মিডফিল্ডার ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন বেশ ছন্দে। 'ইয়র্কশায়ারের পিরলো' নামে খ্যাত এই মিডফিল্ডার দুই অর্ধেই ইংল্যান্ড মাঝমাঠকে দিয়েছেন দারুণ নির্ভরতা।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ফিল ফোডেনের চেষ্টাটা গোলপোস্টে প্রতিহত না হলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত ইংলিশরা। এরপর কিছু 'হাফ চান্স' এসেছে দুই দলের কাছেই, কিন্তু বিরতির বাঁশির আগে বল আর জড়ায়নি জালে।

বিরতির পরও চলেছে সেই একই দৃশ্য। তবে ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন সেই স্টার্লিং। তাতে ইতিহাসও গড়া হয়ে যায় তাদের। ১-০ গোলের এই জয়ে ইউরো ২০২০ এর 'ডি' গ্রুপের মগডালে চড়ে বসেছে ইংল্যান্ড। আর ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার শুরুটা হয়েছে বিস্মরণযোগ্য, এ হারের ফলে স্বাভাবিকভাবেই গ্রুপের তলানিতে চলে গেছে দলটি। 

নিজেদের পরের ম্যাচে ইংলিশরা মাঠে নামবে আগামী ১৯ জুন। শুক্রবার দিবাগত রাত একটায় ইংলিশদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। আর ক্রোয়েশিয়া ১৮ জুন খেলবে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে। 

এনইউ