ফিনল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্ন নিয়ে। গত ডিসেম্বরে কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ডাকও পেয়েছিলেন। ইনজুরির জন্য ক্যাম্প থেকে ছিটকে যান। নেপাল সফরে ডাক পাননি। এবার বিশ্বনাথ ইনজুরিতে পড়ায় মূলত কপাল খুলেছে তারিকের। ক্লাবে বিশ্বনাথের পজিশনে খেলেছেন। নজরে পড়েছেন কোচ জেমি ডের। ঢাকায় অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের হয়ে বিদেশের ফ্লাইটে প্রথম উঠেছেন দেশের খেলোয়াড় হিসেবে। 

কাতার দুই দিন অনুশীলন করেছেন দলের সঙ্গে। এক দিন পরেই আফগান বিরুদ্ধে ম্যাচ। জাতীয় দলের হয়ে নিজের অভিষেকের স্বপ্নে বিভোর তারিক, ‘আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছি।’ নিজের অভিষেক নিয়ে রোমাঞ্চ থাকলেও পেশাদার জায়গাটি ভুলেননি, ‘আমরা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। কোচ কৌশল ঠিক করছে। আমরা মাঠে সেরাটা দিতে চাই।’ 

তারিক ফিনল্যান্ডের হয়ে অনুর্ধ্ব পর্যায়ে খেলেছেন। জুনিয়র পর্যায়ে খেলায় ফিনল্যান্ড, ফিফার অনুমতির প্রয়োজন ছিল তারিক বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য। বাফুফে আনুষ্ঠানিক কাজগুলো শেষ করেছে। কোচ জেমি ডে চাইলে ৩ জুন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তারিককে নামাতে পারেন। আইনি কোনো জটিলতা নেই। জামাল ভূঁইয়ার পর তাহলে তারিক কাজী দ্বিতীয় প্রবাসী ফুটবলার হবেন জাতীয় দলে। জামাল ২০১৩ সালে কাঠমাণ্ডু সাফে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। 

গতকাল সোমবার বল নিয়ে অনুশীলন নামেন জামালরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে অনুশীলন করাবেন কোচ জেমি। এর আগে হোটেলে জিম করেছেন ফুটবলাররা। ইব্রাহিম দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে খুশি, ‘আমি নেগেটিভ হয়ে এখন ক্যাম্পে আছি। আশা করি কাতারে তিন ম্যাচ ভালো খেলে দেশে ফিরতে পারব।’ 

এজেড/এটি/এমএইচ