মরিনিয়োর অদ্ভুত কাণ্ড, চেপে দিলেন প্রতিপক্ষ কোচের নাক

মাঠে মেজাজ হারানোর ঘটনা জোসে মরিনিয়োর জন্য নতুন কিছু নয়। আরও একবার অনাকাঙ্ক্ষিত ও অদ্ভুত এক ঘটনায় তিনি খবরের শিরোনামে এসেছেন। এবার তার আক্রমণের শিকার প্রতিপক্ষ দলের কোচ। তুর্কি কাপে ম্যাচ হারের পর ফেনারবাখের কোচ মরিনিয়ো মাঠে নেমে প্রতিপক্ষ গ্যালাতাসারের কোচ ওকান বুরুকের নাকে চাপ দিয়েছেন। এরপর নাটকীয়ভাবে নাক ধরে শুয়ে পড়েন ওই কোচ।

তুর্কি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গতকাল (বুধবার) দেশটির দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ফেনারবাখ ও গ্যালাতাসারে মুখোমুখি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে চরম ‍উত্তেজনা থাকবে অনুমেয় ছিল। সেটারই যেন বাস্তবায়ন করেছেন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচরাও। তাদের মধ্যকার হাতাহাতি ও বিবাদ মেটাতে মাঠে পুলিশ নামতে বাধ্য হয়। এমন বিশৃঙ্খলার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন মরিনিয়ো। এর আগে তার দল গ্যালাতাসারের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে।

এই ম্যাচ দিয়ে মাত্র নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছিলেন মরিনিয়ো। রেফারিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে পর্তুগিজ এই প্রখ্যাত কোচকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর তার প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তটাতেও লাগালেন বিতর্কের দাগ। ম্যাচ পরবর্তী ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর পরই মরিনিয়ো গ্যালাতাসারে কোচ বুরুকের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে তার নাকে চাপ দেন তিনি, তাৎক্ষণিকভাবে নাক ধরে শুয়ে পড়েন ওকান বুরুক। ম্যাচে পরাজয় ছাড়াও কার্ডজনিত কারণে হয়তো ক্ষোভ ছিল মরিনিয়োর।

অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনা প্রসঙ্গে গ্যালাতাসারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মেতিন ওজতুর্কের দাবি– ‘মরিনিয়ো প্রথমে মৌখিকভাবে এরপর (বুরুকের ওপর) শারিরীক আক্রমণ করেছেন। বিশ্বের অন্য কোথাও তিনি যা খুশি করতে পারেন? তুরস্ক নিয়েই বা কি ভাবেন তিনি? আমি বিশ্বাস করি এসবের পর ফেডারেশন ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ফেনারবাখ ম্যানেজমেন্টই তাকে প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা দেবে।’

আক্রমণের শিকার কোচ ওকান বুরুক জানিয়েছেন, ‘আমার এবং মরিনিয়োর ভেতর (বিবাদের মতো) কিছু ছিল না। তিনি পেছন থেকে এসে আমার নাকে আঘাত করেছেন, যে কারণে কিছুটা চিড়েও গেছে। অবশ্যই এটি কোনো ভালো বিষয় বা আচরণ নয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা ম্যানেজারদের কাছ থেকে সঠিক আচরণ প্রত্যাশা করি। আমি এই ইস্যুটা বাড়াতে চাই না, তবে এটি ভালো দৃষ্টান্ত নয়।’

ম্যাচজুড়েও দুই দলের খেলোয়াড়রা হাতাহাতি ও বিবাদে জড়ান 

ম্যাচের ৯০ মিনিট পার হতে উভয় দলের বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে তিন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এর মধ্যে দুজন গ্যালাতাসারের, একজন ফেনেরবাখের। এর আগে মরিনিয়ো নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে রেফারিকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে। সেই সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী এই কোচের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণেরও অভিযোগ উঠেছিল।

এএইচএস