প্রথমেই দুই গোল হজম করেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। প্রতিপক্ষ ভারত ও আফগানিস্তান যখন অন্য দেশের জাতীয় দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে, তখন শেখ জামালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য রক্ষাকবচ।
 
একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে জামাল ভূঁইয়াদের আরও একটু আত্নবিশ্বাসী আশা করেছিলেন শেখ জামালের বর্তমান কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, ‘১০ দিন ছুটির পর পাঁচ দিন আগে থেকে আমার ছেলেরা অনুশীলন শুরু করেছে। এতেই তারা জাতীয় দলের বিপক্ষে ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। পরিচিত মাঠ, পরিচিতি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে জাতীয় ফুটবলারদের আরো একটু আত্নবিশ্বাসী আশা করেছিলাম। তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ানো উচিত। ’ 

বিদেশে না হোক, অন্তত দেশের মাটিতে ক্লাব দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পেরে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন জেমি ডে, ‘ম্যাচটা আমাদের খুব দরকার ছিল। ধন্যবাদ শেখ জামালকে। আমরা নতুন কৌশলে খেলেছি। এখনও অনেক কাজ করতে হবে। আমি খুশি যে ম্যাচটা খেলতে পেরেছি। আমরা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলেছি। শেখ জামালও বেশ ভাল খেলেছে।’ 

দ্বিতীয়ার্ধের প্রসঙ্গে শেখ জামাল কোচ মানিকের বক্তব্য, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমি অনেক পরিবর্তন করেছিলাম। চতুর্থ গোলরক্ষককে খেলিয়েছি দ্বিতীয়ার্ধে। ওই সময় মূলত গোলগুলো হয়েছে। যদিও আমি কাউকে খাটো করছি না। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলতে যাওয়া দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ানো উচিত।’ জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ ম্যাচের স্কোরলাইন নিয়ে বলেন, ‘স্কোরলাইন কি হয়েছে তা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। এই ধরনের ম্যাচে স্কোরলাইন কোনো বিষয় না। আমার চিন্তা যে কৌশলে খেলেছি, সেটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’

জাতীয় দলের সিনিয়র ফুটবলার ডিফেন্ডার তপু বর্মণের মন্তব্য, ‘এমন একটি ম্যাচ আমাদের দরকার ছিল। ম্যাচে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে। আমরা অনেক ভালো খেলেছি। কিছু ভুল ছিল। তা বের করবেন কোচ। পজেটিভ কিছু অর্জন করতে পেরেছি। কোচ এখন পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন, আমাদের কোথায় ভুল রয়েছে।’
 
এজেড/