তবে কি লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর লড়াইয়ের আর দেখা মিলবে না ইউরোপীয় পরিসরে? ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ধারণায় এখনো অটল থাকার কারণে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসকে বড় শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে উয়েফা। যাতে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ইউরোপীয় সব ধরণের প্রতিযোগিতা থেকে দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনাও।

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ধারণা থেকে এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি। নয় দল পিছু হটেছে ইতোমধ্যেই। তবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা আর জুভেন্তাস এখনো তাদের অবস্থানে অনড়। উয়েফার ক্ষোভ এজন্যেই।

এজন্যে শাস্তিমূলক কার্যক্রমের মুখোমুখিও হতে পারে দলগুলো, সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নীতিনির্ধারণী সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তথাকথিত সুপার লিগ প্রকল্পে যোগসাজশ থাকার কারণে উয়েফার পক্ষ থেকে তদন্তের পর রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্তাসের ওপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’ তবে সে শাস্তিমূলক পদক্ষেপটা কী, তা এখনো জানায়নি উয়েফা; বলা হয়েছে বিষয়টি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল অনেকটা আচমকাই আসে ১২ দল নিয়ে সুপার লিগের সিদ্ধান্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভক্তদের তীব্র সমালোচনা আর আন্দোলনের মুখে ছয় প্রিমিয়ার লিগ দল সরে আসে এ প্রকল্প থেকে। এর কিছু পরে সরে আসে এসি মিলান আর ইন্টার মিলান; স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও অনুসরণ করে তাদের, নিজেদের সরিয়ে নেয় সুপার লিগ থেকে।

সুপার লিগের ধারণাতে ১২ শীর্ষ ইউরোপীয় দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ছিল, আর বাকি চার দল নির্ধারিত হতো তাদের পারফর্ম্যান্স দিয়ে। টুর্নামেন্টের এমন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন’ কাঠামোর কারণেই মূলত তোপের মুখে পড়ে এ ধারণা। শুরুটা ভক্তরা করলেও এরপর খেলোয়াড়, কোচ, এমনকি সরকারও বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান এতে। 

সুপার লিগে যোগ দেওয়ার খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্লাবের সমর্থকরা/ফাইল ছবি

এরপরই আসে ক্লাবগুলোর সরে আসার ঘোষণা। তবে রিয়াল, বার্সা আর জুভে ঠিকই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এমনকি গত ৮ মে তাদের অবস্থানকে সমর্থন করে এক বিবৃতিও আসে তাদের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, তাদেরকে ফুটবলের গড়ে ওঠা বাস্তুতন্ত্র ও তার সমস্যা সমাধানের পথে তৃতীয় পক্ষ বাধা সৃষ্টি করছে। দলগুলো আরও জানায়, ফুটবলের আবেদন টিকিয়ে রাখতে শিগগিরই এ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। এই সুপার লিগ দিয়ে সেটাই করার চেষ্টায় আছে রিয়াল, বার্সা আর জুভে।

এনইউ