এক সময় একসঙ্গে বার্সেলোনায় খেলেছেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র। দুজনের দারুণ সখ্যতার কথাও কারও অজানা নয়। তাদের দেখেই ফুটবলে এসে বর্তমানে তারকায় পরিণত হয়েছেন লামিনে ইয়ামালসহ বর্তমান প্রজন্মের অনেকে। বার্সেলোনার এই স্প্যানিশ ওয়ান্ডার কিডও মেসি-নেইমার দুজনকেই পছন্দ করেন, তবে আদর্শ মানেন তাদের একজনকে।

বার্সেলোনার উঠতি ফুটবলারদের শিক্ষাকেন্দ্র ‘লা মাসিয়া’ একাডেমিতে ২০১৪ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সেই যোগ দেন লামিনে ইয়ামাল। সেই সময় কাতালান ক্লাবটিতেই দেখেছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী আক্রমণ-ত্রয়ী ‘এমএসএন’। মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ ছিলেন যেকোনো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছেও মূর্তিমান আতঙ্ক। এই তিনজনের আক্রমণে বার্সেলোনাকে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে দেখেছেন লামিনে ইয়ামাল। তাদের সময়েই নিজেদের সর্বশেষ ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল কাতালানরা।

অল্প সময়েই স্পেন জাতীয় দল এবং বার্সেলোনা সিনিয়র দলের অন্যতম প্রধান তারকায় পরিণত হয়েছেন ইয়ামাল। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে চলতি মৌসুমে চোটে পড়ার আগপর্যন্ত ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মেও। ফলে ইয়ামালের হাতে চলতি মৌসুমেই স্পেন ও বিশ্ব ফুটবলের বেশ কয়েকটি পুরস্কার উঠেছে। মেসি-নেইমার দুজনেরই খেলা পছন্দ তার, তবে ছোটবেলা থেকে তিনি আদর্শ মানেন ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। যা নিয়ে আগেও কথা বলেছিলেন ইয়ামাল, নতুন করে সেই প্রসঙ্গ টানলেন ‘সিএনএন স্পোর্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

১৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমি ৫ বছর বয়সে তাকে (নেইমার) সান্তোসে (ব্রাজিলিয়ান ক্লাব) দেখেছিলাম। পরে যখন বয়স সাত হয়, তাকে বার্সেলোনায় ক্যাম্প ন্যু’র একজন সদস্য হিসেবে পাই। তার সরাসরি সাক্ষাৎ পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্য কিছু। এটি সত্য যে, সেখানে থাকা (লিওনেল) মেসিও একজন দুর্দান্ত ফুটবলার, তবে সে (নেইমার) সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। নেইমার সবসময়ই আমার আদর্শ (আইডল) ছিলেন, তিনি একজন তারকা এবং ফুটবল কিংবদন্তি।’

মাত্র ১৫ বছর বয়সে লা লিগায় বার্সেলোনার জার্সিতে সর্বকনিষ্ঠ ‍ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হয় ইয়ামালের। বয়স ১৬ পূর্ণ হলে ব্লোগ্রানা ক্লাবটির হয়ে তার বাইআউট ক্লজ নির্ধারিত হয় ১ বিলিয়ন ডলার। ১৭ বছর বয়সে তিনি এখন কাতালান জায়ান্টদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায়। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘আমি জানি না কখন কী (চুক্তি স্বাক্ষরের সময়) হবে, তবে বিশ্বাস করি সেটি শিগগিররই হবে। সবমিলে বার্সা ক্লাব আমার জীবন, আমি আশা করব যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। আমি স্প্যানিশ লিগে খেলতে চাই, বার্সার হয়ে খেলতে চাই এবং চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী।’

এএইচএস