টটেনহ্যাম হটস্পার্স ৩ - ৬ লিভারপুল

চলতি মৌসুমটা টটেনহ্যাম হটস্পারের জন্য অনেকটা রবিনহুডের মতোই। তুলনামূলক বড় দলের বিপক্ষে জয় পেলেও টেবিলের নিচের দিকের দলগুলোর বিপক্ষে ড্র কিংবা হার জুটেছে কপালে। এ যেন বড়দের কাছ থেকে পয়েন্ট এনে দূর্বল দলকে পয়েন্ট বিলিয়ে দেয়া। লিভারপুলের বিপক্ষেও তেমন একটা কিছু আশা করেছিল হয়ত স্পার্স ভক্তরা। 

চলতি প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি ৩৯ গোল করা স্পার্সরা  এই ম্যাচেও পেয়েছে ৩ গোল। তবু লিভারপুলের নামের পাশে আছে সহজ জয় শব্দদুটো। কারণ, টটেনহ্যামের ৩ গোলের বিপরীতে আর্নে স্লটের দল দিয়েছে ঠিক ঠিক দ্বিগুণ ৬ গোল। ৯ গোলের ম্যাচে একপ্রকার সহজ জয় লিভারপুলের। 

প্রথমের প্রথম মিনিটেই আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত ছিল টটেনহ্যামের। কিন্তু ওইটুকুই। প্রথমার্ধের বাকি ৪৪ মিনিট ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণটাই ছিল অলরেডদের হাতে। স্পার্সদের আক্রমণ যেমন ঠেকিয়েছে, তেমনি কুইক অফেন্সিভ ট্রানজিশনে একের পর এক গোল দিয়েছে তারা। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও লুইস দিয়াজ। বাকি দুই গোল ম্যাক অ্যালিস্টার এবং দমিনিক সবোস্লাইয়ের। 

লিভারপুল প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল ৩-১ গোলে। ৯ গোলের ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন লুইস দিয়াজ। আলেকজান্ডার আর্নল্ডের মাপা ক্রসে হেড করে বল জালে পাঠান কলম্বিয়ান তারকা। পরের গোলটা লিভারপুল পায় ২৩ মিনিটে। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ৪১ মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের দূর পাল্লার গোলে ব্যবধান কমায় টটেনহাম। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দমিনিক সবোসলাইয়ের গোলে ২ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল।

বিরতি থেকে ফেরার পর ৫৪ ও ৬১ মিনিটে সালাহর জোড়া গোলে ৫-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপরেই খেলায় খানিক উত্তেজনা ফেরায় টটেনহ্যাম। ৭২ মিনিটে দেয়ান কুলুসেভস্কি ও ৮৩ মিনিটের ডমিনিক সোলাঙ্কির গোলে ৫-৩ এ নিয়ে আসে ম্যাচটা। কিন্তু শেষদিকে আর কোনো নাটকীয়তা হতে দেয়নি লিভারপুল। উল্টো শুরুর মতো শেষও করেছেন লুইস দিয়াজ। ৮৫ মিনিটে তার করা গোলে ৬-৩ ব্যবধানে সহজ জয় পেয়ে যায় লিভারপুল। 

লিগে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পাওয়া লিভারপুল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে। ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে বড়দিনের বিরতিতে যাচ্ছে লিভারপুল। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা চেলসির। সবশেষ ম্যাচে তারা পয়েন্ট হারিয়েছে এভারটনের সঙ্গে ড্র করে।

জেএ