কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে ২০২২ বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের। একই ভেন্যুতেই এবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফরাসি তারকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা জিতলেন। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোল করেছেন দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গোয়েস। যাতে ভর করে আন্তঃমহাদেশীয় ফাইনাল জিতে মৌসুমের পঞ্চম শিরোপা জিতল রিয়াল।

নামেভারে বেশ পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকা এফসির বিপক্ষে গতকাল (বুধবার) রাতে মুখোমুখি হয় কার্লো আনচেলত্তির দল। যেখানে তিন তারকার গোলে পাচুকাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ীরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপের পর রিয়ালের গত মৌসুমের শোকেসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও যুক্ত হলো।

ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপের পরিধি ও ফরম্যাট দুটিই বদলে যাচ্ছে ২০২৪-২৫ আসর দিয়ে। সে কারণেই ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ক্লাব বিশ্বকাপের আদলে প্রথমবার আন্তঃমহাদেশীয় কাপ আয়োজন করেছে। ছয় কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত এই নকআউট টুর্নামেন্টের ফাইনালে রিয়াল মুখোমুখি হয় কনক্যাকাপ চ্যাম্পিয়ন পাচুকার।

ইউরোপীয় জায়ান্ট রিয়ালের সামনে পাচুকা কেমন পারফর্ম করে সেটাই দেখার ছিল। বদ দখলে পিছিয়ে থাকলেও, আক্রমণভাগে প্রায় সমান লড়াই করেছে মেক্সিকোর দলটি। সমান ১২টি করে শট নিয়ে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে, অন্যদিকে একটি বেশি শট লক্ষ্যে ছিল রিয়ালের। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি সপ্তম মিনিটে পায় পাচুকা। তবে লুইস রদ্রিগেজের নেওয়া দূরপাল্লার শট থিবো কোর্তোয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারে পরিণত করেন। দুই পক্ষের আক্রমণ জমে ওঠে ৩৭ মিনিটে। সেই দফায় সফল রিয়াল। ভিনিসিয়ুসের গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাড়ানো বল ধরে কাটব্যাকে জালে জড়ান এমবাপে।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে রিয়ালের লিড দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। ৫৩ মিনিটে এই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ডি-বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে কাটিয়ে বাঁকানো শটে সফল লক্ষ্যভেদ করেন। শট নেওয়ার সময় জুড বেলিংহ্যাম বেশ এগিয়ে থাকায় প্রথমে অফসাইড নিয়ে সংশয় দেখা দেয়, পরে ভিএআর মনিটরে তাকে বসে থাকতে দেখায় গোলের সিদ্ধান্ত জানান রেফারি। ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে পাচুকার সামনেও। তবে তাদের হেড চলে যায় গোলবারে হাওয়া লাগিয়ে।

এরপর ভিনির নেওয়া শট ঠেকান পাচুকা গোলরক্ষক। তবে এই ব্রাজিলিয়ানই আবার তৃতীয় গোলটি করেন ৮৪তম মিনিটে। প্রতিপক্ষ ফুটবলার লুকাস ভাসকেজকে ডি-বক্সে ফাউল করায় রেভারি ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি দেন। সেখান থেকে সফল স্পটকিকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। যোগ করা সময়ে দারুণ হেডে গোল করলেও অফসাইডে কাটা পড়ে হতাশা নিয়ে ফেরে পাচুকা।

এএইচএস