কাতারে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। বাফুফের পরিকল্পনা ছিল কাতারেই খেলার। কাতার সরকারের বিধিনিষেধের জন্য কাতারে অনুশীলন ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় এজন্য বাংলাদেশ কাতার সফর বিলম্ব করেছে। 

এরপর পরিকল্পনা ছিল ঢাকাতেই দুইটি ক্লাব দলের সঙ্গে খেলা। ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে জাতীয় দলের অনুশীলন ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাফুফে। সেই সময় জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে ফুটবল ফেডারেশনকে ভিন্ন একটি প্রস্তাব দেন, ‘কাতার যেহেতু আগে গিয়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলা সম্ভব হচ্ছে না তাই মধ্যপ্রাচ্যে কোথাও অনুশীলন ম্যাচ খেলে কাতার যাওয়া যায় কিনা’ কোচের দৃষ্টিতে কাতারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অনুশীলন ম্যাচও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কোচের এই প্রস্তাবে বাফুফে এখনো পর্যালোচনার মধ্যে রাখলেও ইতোমধ্যে সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সৌদি আরবে গিয়ে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চিন্তা-ভাবনা করছে। সেখান থেকে আবার কাতার যাওয়া কয়েক দফা করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। 

সব মিলিয়ে কিছুটা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। জামালদের অনুশীলন ম্যাচ কোথায় কাদের বিরুদ্ধে হবে এ নিয়ে তাই খানিকটা ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। যেখানেই হোক জাতীয় দলের অনুশীলন ম্যাচ খেলা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ, ‘আমাদের অনুশীলন ম্যাচ খেলা খুবই দরকার। অনুশীলন ম্যাচ খেললে আমরা নিজেদের ভুল ত্রুুটিগুলো আরো শুধরাতে পারব।’

বাফুফের বিদ্যমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ মে কাতার যাবে বাংলাদেশ দল। যদিও কোচ আরও একটু আগে ভাগে যেতে চান। সরাসরি কাতার গেলে সেক্ষেত্রে ঢাকাতেই হবে অনুশীলন ম্যাচ। আর যদি নতুন পরিকল্পনা মতো কাজ হয় সেক্ষেত্রে সৌদি আরব গিয়ে ম্যাচ খেলে সেখান থেকেই কাতার রওনা হবেন ফুটবলাররা। আগামীকাল এই ব্যাপারে বাফুফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছানোর কথা রয়েছে। 

এজেড/এমএইচ