রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে অম্ল-মধুর সময় কাটাচ্ছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। মাঝে বেশ কয়েকদিন তিনি স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না, নিজের নেওয়া টানা দুটি পেনাল্টিই মিস করেছেন। এদিকে, সংবাদমাধ্যম লেকিপে’র দেওয়া ২০২৩-২৪ মৌসুমে ফ্রান্সের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন এমবাপে। তবে তিনি নাকি সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার ভোট পাননি!

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, এ নিয়ে চতুর্থবার ফ্রান্স ফুটবলের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন অধিনায়ক এমবাপে। প্যারিসে জন্মগ্রহণকারী এই তারকা ২০২৩-২৪ মৌসুম খেলেছেন পিএসজিতে। সেই ক্লাব ও ফ্রান্স জাতীয় দলে তার পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে এই পুরস্কারে। বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে এই ভোটের আয়োজন করে লেকিপে। যেখানে বেনজেমা ও এনগোলো কান্তের ভোট পাননি এমবাপে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমবাপের সঙ্গে এক সময় জাতীয় দলে খেলেছেন বেনজেমা। সাবেক চেলসি মিডফিল্ডার কান্তে তো এখনও খেলে যাচ্ছেন। তবে তারা এমবাপেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের নির্বাচনে ভোটে দেননি। আল-ইত্তিহাদ তারকা বেনজেমা ভোট দিয়েছেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, ব্র্যাডলি বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমরিকে। একইভাবে কান্তের ভোটও পাননি এমবাপে। এই মিডফিল্ডার ভোট দেন উইলিয়াম সালিবা, জুলস কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে। তবে তাদের পক্ষে না পেলেও সম্মিলিত ভোটে রিয়াল ফরোয়ার্ডই নিজ দেশের সেরা হয়েছেন।

ফ্রান্সের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে কে কত পয়েন্ট পেয়েছেন এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তা জানিয়েছেন দলবদল বিষয়ক প্রখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। তার তথ্যমতে– সর্বোচ্চ ৫৬ পয়েন্ট পেয়েছেন এমবাপে। এ ছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনাল ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা ৫১, মাইক মাইগনান ২৪, কামাভিঙ্গা ১৭, ওঁরেলিয়ে চুয়ামেনি ১৬ এবং আঁতোয়ান গ্রিজম্যান ও লিস মেলু সমান ১৫ পয়েন্ট করে পেয়েছেন।

এ নিয়ে চতুর্থবার সেরা ফরাসি ফুটবলারের এই পুরস্কার জিতলেন এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ভালো লড়াই হয়েছে রক্ষণভাগের আস্থার নাম হয়ে ওঠা সালিবার। কামাভিঙ্গা-চুয়ামেনিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যবধান বড়সড়। এর আগে ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও লেকিপের দেওয়া বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি পান এমবাপে।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবশেষ ম্যাচে আতালান্তাকে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একটি গোল করেন এমবাপে, তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই তিনি ঊরুর ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে লা লিগার আসন্ন ম্যাচে (রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে) এমবাপে খেলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। একইভাবে ইন্টারকন্টিনাল কাপের ফাইনালেও অনিশ্চয়তা রয়েছে তাকে নিয়ে, তবে ঠিকই তিনি দলের সঙ্গে কাতারের বিমান ধরবেন।

এএইচএস