আর্সেনাল ২ - ০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড 

রুবেন আমোরিমকে বেশ একটা প্রত্যাশা নিয়েই নিজেদের ডেরায় টেনেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আসার পর থেকে টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত ছিল রেড ডেভিলরা। রুবেন আমোরিমও অপরাজিত ছিলেন টানা ৩৪ লিগ ম্যাচ। সময়ের হিসেবে পুরো ১ বছর। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের বাস্তবতাও চেনা হয়ে গেল এই পর্তুগিজ কোচের। 

নিজের প্রথম বড় ম্যাচে আর্সেনালের কাছে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২-০ গোলের এই হারের সুবাদে ১ বছর পর লিগ ম্যাচে হেরেছেন আমোরিম। আর ৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর ফের হারের মুখ দেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা চারবার ইউনাইটেডকে হারিয়েছে গানার্সরা।  

দুই বড় দলের ম্যাচে বেশ একটা আগ্রহ নিয়েই বসেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু সে প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মাঠে থাকা ২২ ফুটবলার। একপ্রকার ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলই খেলেছে দুই দল। প্রথমার্ধে গোলের জন্য তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। তাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল ৮ম মিনিটে। তবে কর্নার থেকে নেয়া টমাস পার্টের হেড লক্ষ্যেই ছিল না। 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অবশ্য আক্রমণ ঠেকাতেই বেশি সময় পার করেছে। পুরো ম্যাচে ইউনাইটেডের ৫ শটের ২টি ছিল লক্ষ্যে, দুটিই দ্বিতীয়ার্ধে। রেড ডেভিলরা যে শোচনীয় অবস্থার মাঝে ছিল সেটা স্পষ্ট এই এক তথ্যেই। 

ম্যাচের প্রথম গোল আসে ৫৪ মিনিটে। ডেক্লান রাইসের কর্নারে  কাছের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান জাস্টিন টিম্বার। গোল খেয়েই কিছুটা আক্রমণের চেষ্টা চালায় ম্যান ইউনাইটেড। ৬৭ মিনিটে প্রথম গোলে শট নেয় দলটি। যদিও ম্যাথিয়াস ডি লিটের হেড ঠেকিয়ে দেন গানার্সদের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। 

৭৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় স্বাগতিক আর্সেনাল। এবারও গোলের উৎস ছিল কর্নার। বুকায়ো সাকার কর্নারে পার্টের হেড সালিবার পিঠে লেগে জালে জড়ায়। এই ম্যাচের পর ১৪ ম্যাচে ৮ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আর্সেনাল। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে শীর্ষে। 

জেএ