সমকামিতা এবং সব ধরণের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই প্রতি বছর নভেম্বর মাসে একটি গেইমউইকে রংধনু আর্মব্যান্ড পরিধানের বিধান রয়েছে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগে। মূলত এলজিবিটিকিউ সমাজের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য। প্রিমিয়ার লিগের চলতি সপ্তাহের খেলায় সব দলের অধিনায়ককেই তাই দেখা গিয়েছে বিশেষ আর্মব্যান্ডে। 

কিন্তু ব্যতিক্রম স্যাম মুরসি। ইসলাম ধর্মের অনুসারী এই মিশরীয় ফুটবলার অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এমন রঙিন বাহুবন্ধনী নিয়ে মাঠে নামতে। ইপসউইচ টাউন ক্লাবের অধিনায়ক স্যাম জানান, ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। 

যে কারণে চলতি সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে রংধনু আর্মব্যান্ড ছাড়াই মাঠে নেমেছিলেন স্যাম মুরসি। এনিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই মিশরীয় তারকা। অনেকের ভাষ্য, একজন অধিনায়ক হিসেবে তার এমন সিদ্ধান্ত বেশ হতাশাজনক। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন কথাও জানিয়েছেন অনেকেই। 

তবে মুরসির ক্লাব ইপসউইচ টাউন জানিয়েছে, তারা ক্লাব হিসেবে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়কে বরাবরের মতোই সম্মান করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে। সেইসঙ্গে ক্লাবের অধিনায়ক হিসেবে মুরসির ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সিদ্ধান্তের প্রতিও তারা সম্মান প্রদর্শন করবে। 

এই প্রসঙ্গে হতাশা ব্যক্ত করেছেন উয়েফার এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য লরা ম্যাকঅ্যালিস্টার। ওয়েলশ ফুটবলের সাবেক এই অধিনায়কের ভাষ্য, ‘আমি মনে করি সবার ব্যক্তিগত পছন্দের একটা ব্যাপার থাকতে হবে। যদিও আমি এই বিষয়ে (স্যাম মুরসি প্রসঙ্গে) হতাশ। কারণ একজন অধিনায়ক তার দল এবং ক্লাবের প্রতিনিধি, সেইসঙ্গে যেসব ভক্ত ক্লাবকে সমর্থন করে– তাদেরও প্রতিনিধি। যাদের মাঝে এই এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছেন। 

রংধনু আর্মব্যান্ড নিয়ে এমন ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম না। এর আগে গেল বছর লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে আনিল আহমেদোভিচ একইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া বর্তমান এভারটন স্কোয়াডের খেলোয়াড় ইদ্রিসা গায়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের হয়ে খেলার সময় বিশেষ রংধনু জার্সি পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। 

জেএ