৩৬ বছর বয়সেও একের পর এক নজরকাড়া পারফরম্যান্সে খবরের শিরোনামে আসছেন আনহেল ডি মারিয়া। যেন আর্জেন্টাইন ভক্তদের আক্ষেপ বাড়ানোর মিশনে নেমেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলার পর থেকে ক্লাবের জার্সিতে তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণ কোনো ফরোয়ার্ড। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হয়েও বেনফিকার প্রধান উইঙ্গারে পরিণত হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সতীর্থ লিওনেল মেসির একটি রেকর্ড ভেঙে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পিছু নিয়েছেন ডি মারিয়া।

আগের ম্যাচেই দৃষ্টিনন্দন এক বাইসাইকেল কিকে গোলসহ হ্যাটট্রিক করে ফুটবলাঙ্গনের প্রশংসা কুড়িয়েছেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার এই তারকা। ম্যাচটি ছিল দেশটির লিগে। এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল না পেলেও করেছেন জোড়া অ্যাসিস্ট। আর তাতেই ডি মারিয়া ইউসিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছেন। ক্লাবসেরা হওয়ার এই প্রতিযোগিতায় তার বর্তমান অ্যাসিস্ট ৪১টি।

ডি মারিয়ার সামনে আছেন যৌথভাবে কেবল দুজন। পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো ও সাবেক ওয়েলশ তারকা রায়ান গিগস (৪২টি)। তাদেরও ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই আর্জেন্টাইনের সামনে। সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয় ডি মারিয়ার পর অবস্থান তাদের সাবেক দুই সতীর্থ মেসি (৪০) ও নেইমারের (৩৩)।

ক্যারিয়ারজুড়ে তারকা উইঙ্গারদের আড়ালে ছিলেন ডি মারিয়া। জাতীয় দলে লম্বা সময় মেসি এবং ক্লাবে কখনও রোনালদো, নেইমার জুনিয়র কিংবা কিলিয়ান এমবাপেদের তারকাখ্যাতি তাকে ছাপিয়ে গেছে। তবে গোল করা ও করানোয় ডি মারিয়ার সামর্থ্যের কথা কেউ অজানা নয়। গতকাল (বুধবার) ইউসিএলের ম্যাচে তার দল বেনফিকাও ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে মোনাকোর বিপক্ষে।

ডি মারিয়ার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও অনেক তারকা ফরোয়ার্ডের জন্য ঈর্ষণীয় হতে পারে। বেনফিকার জার্সিতে সবশেষ ৩ ম্যাচে তার গোল ৫টি এবং ৩টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। পোর্তোর বিপক্ষে দুই গোল, এরপর এস্ত্রেলা আমাদোরার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবশেষ ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্ট।

ডি মারিয়ার কীর্তি গড়ার দিনে অবশ্য তার দল প্রথমে পিছিয়ে ছিল। এলিয়েসে বেন সেগিরের গোলে মোনাকো এগিয়ে যাওয়ার পর ভ্যাঞ্জেলিস পাভিদিসের গোলে সমতায় ফেরে বেনফিকা। ৫৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মোনাকোর উইলফ্রেড সিনগো। তবে ১০জনের দল নিয়েই ফরাসি লিগের দলটি ৬৭ মিনিটে মাগাসার গোলে ফের এগিয়ে যায়। কিন্তু ৮৪ মিনিটে আর্থার ক্যাব্রাল ও চার মিনিট পর জেকি আমদৌনি গোল করে জয় এনে দেন বেনফিকাকে।

এএইচএস