ঘরোয়া ফুটবলের নতুন আসর চ্যালেঞ্জ কাপ। যেখানে মোহামেডান ১-০ গোলে ৭২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে স্বাগতিক কিংসের কাছে হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। হারের জন্য মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ স্মোক ফ্লেয়ারকে দায়ী করেছেন। যা খেলার মাঝপথে বিঘ্ন ঘটিয়েছিল।

৬২ মিনিটের সময় মোহামেডানের অর্ধে সমর্থকরা স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়েন। রঙের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন মাঠে খেলা আট মিনিট বন্ধ থাকে। সেটাকেই খেলার টার্নিং পয়েন্ট বলছেন বিজিত দলের কোচ, ‘খেলা ওই সময় স্থগিত হওয়ায় আমার দলের ছন্দপতন হয়েছে। এরপর আর ফিরতে পারিনি। পরিস্থিতি কিংসের পক্ষে যায় এবং তারা ভালো খেলে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয়।’

কিংস অ্যারেনায় কিংসকে হারানো বেশ দুঃসাধ্য। কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস এখন পর্যন্ত কেবল এই মোহামেডানের বিপক্ষেই হেরেছে। এর পুনরাবৃত্তি হওয়া অনেক কঠিন, সেটা আজ আবার টের পেলেন সাবেক তারকা ফুটবলার, ‘দেশের অন্য সব মাঠের চেয়ে এই মাঠে ভিন্নতা রয়েছে। এখানে অতিমাত্রায় পানির ব্যবহার করা হয়। অন্য দলগুলো যে মাঠে অনুশীলন করে এবং খেলে সেসবের সঙ্গে ভিন্নতা রয়েছে অনেক।’

স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়ার পর এভাবেই কিংস এরেনা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়

মোহামেডানের অধিনায়ক মালির ফুটবলার সুলেমান দিয়াবাতে। তার গোলে মোহামেডান লিড নিয়েছিল মাত্র সাত মিনিটেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমার্ধে ভালোই খেলেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারিনি। তারা ভালো খেলেছে এবং জিতেছে।’

গত মৌসুমে টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুই দফা মোহামেডান লিড নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আজকের ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এর কারণ সম্পর্কে মোহামেডান কোচের ব্যাখ্যা, ‘তারা অনেক শক্তিশালী দল। জাতীয় দলের দশ জনের বেশি খেলোয়াড় এবং ভালো মানের বিদেশিও আছে। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচ বের করে নেয়। এটা তাদের ক্রেডিট।’

লিগ ও টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ দিয়ে ইউরোপের অনেক দেশে নতুন মৌসুম শুরু হয়। ইংল্যান্ডে সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় নিরপক্ষে ভেন্যু ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ভেন্যু বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায়। মোহামেডানের সমর্থকরা এই জাতীয় ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। 

এজেড/এএইচএস