তথ্য সংগ্রহ, উপাত্ত বিশ্লেষণ আর বিভিন্ন সম্ভাব্যতা বিচারে চ্যাট জিপিটি এখন আস্থার নাম। সেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্সের কাছেই প্রশ্ন ছিল ব্রাজিল বিষয়ে। বর্তমানে খুব একটা ছন্দে নেই ফুটবল বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি শিরোপাধারী দলটি। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ড্র করে লাতিন অঞ্চলের ৫ম স্থানে নেমেছে তারা। এমন অবস্থায়, নিজ দেশের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনতে হয়েছে তাদের। 

কিন্তু, ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ে চ্যাটজিপিটি রীতিমতো আশার আলোই জ্বালিয়েছে বলা চলে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, পরের ৫ বিশ্বকাপ কে জিতবে। আর তাতেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তর, ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ ঘরে তুলবে ব্রাজিল। যার অর্থ, বহুল আরাধ্য ‘হেক্সা’ পূরণে সেলেসাওদের অপেক্ষা করতে হবে আর ৬ বছর। 

পরের বিশ্বকাপটা ঘরে তুলবে ফ্রান্স। আর ২০৩৪ সালে আরও একবার এশিয়া মহাদেশে এসে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পাবে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলের ক্ষেত্রেই চ্যাটজিপিটি বিশ্বাস করে, তরুণ প্রজন্ম এসে দুই দলের চিত্র বদলে দেবে। 

ঢাকা পোস্টের প্রশ্নে চ্যাটজিপিটির উত্তর

২০৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ওপর বাজি রাখছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বুকায়ো সাকা এবং জ্যুড বেলিংহাম আরও পরিণত হয়ে ইংলিশদের হাতে বিশ্বকাপ এনে দেবে বলে মনে করছি চ্যাট জিপিটি। আর ২০৩৮ সালে এসে নিজেদের ৫ম বিশ্বকাপ পাবে জার্মানি। 

কতটা বিশ্বাসযোগ্য চ্যাট জিপিটির উত্তর?

প্রশ্ন আসতেই পারে, চ্যাট জিপিটির এই ভবিষ্যদ্বাবাণী কতটা বিশ্বস্ত। এই প্রশ্নেও হয়ত আশাবাদী হবেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। ম্যাসিভ মাল্টিটাস্ক ল্যাঙ্গুয়েজ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মতে, চ্যাটজিপিটি ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম। আর খেলাধুলার ক্ষেত্রে তাদের সম্ভাব্যতার সাফল্যও বেশ বলার মতোই।

টুলিফাই ডট এআই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন খেলায় ফলাফল নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছিল চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে। সেখানে লিভারপুল বনাম টটেনহ্যাম ম্যাচে সঠিক প্রেডিকশন দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি। এসি মিলান ও জুভেন্টাস ম্যাচে আংশিক এবং একটি বাস্কেটবল ম্যাচে ভুল অনুমান করেছিল এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একই রকমের আরেকটি ফলাফল প্রকাশ পায় গেল মাসেই। 

যেখানে ওএলবিজি নামের এক প্রতিষ্ঠান দুটি ভিন্ন ভিন্ন এআই টুলস ব্যবহার করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেছিল। সেখানে ১১০ ম্যাচের মধ্যে ৬১ ম্যাচে সঠিক ফল অনুমান করে চ্যাটজিপিটি। যার অর্থ, প্রায় ৫৫ শতাংশ ম্যাচে সঠিক অনুমান করেছিল তারা। সব হিসেব টেনে তাই চ্যাটজিপিটির অনুমান উড়িয়ে দেয়া একেবারেই সহজ নয়। 

জেএ