সময়টা বলতে গেলে বেশ ভালোই যাচ্ছে লাউতারো মার্টিনেজের। ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় জয়ের নায়ক ছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১১২ মিনিটে করা তার ওই গোলেই শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। বছরের একেবারে শেষ ম্যাচে এসে আরও একবার সেই লাউতারো মার্টিনেজ নায়ক বনে গেলেন। 

ম্যাচের বয়স তখন ৫৫ মিনিট। ডি-বক্সের ভেতর বল নিয়ে ঢুকলেন মেসি। ৩ ডিফেন্ডারের মাঝে ফাঁকা জায়গা বের করে দারুণ এক চিপ করেন লিওনেল মেসি। ইনফর্ম স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ শূন্যে ভেসে করলেন দুর্দান্ত এক ভলি। ৫৫ মিনিটের সেই গোলেই বছরের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে লিড জয় পায় আর্জেন্টিনা। দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এটি আর্জেন্টাইন ফুটবলে ১ হাজার ৯৯৯তম গোল। 

তবে এই ম্যাচে গোলের মাহাত্ম্য আলাদা। ৭০ ম্যাচে ৩২ গোল করা লাউতারো এখন আর্জেন্টিনার ফুটবলে যৌথভাবে ৫ম সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর এই কীর্তিতে তার পাশে নাম আছে কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার। আর্জেন্টিনার হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করে ম্যারাডোনাকে স্পর্শ করেছেন তিনি। 

নিজেদের শেষ ম্যাচে দল শেষ পর্যন্ত দল জেতায় মার্টিনেজ বেশ খুশি। বিশেষ করে লা বোম্বানেরা স্টেডিয়ামে পরিবারের সামনে গোল পেয়েছেন। উচ্ছ্বাস তাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, ‘খুশি লাগছে, কারণ পুরো পরিবার (স্টেডিয়ামে) এসেছিল। সব সময় নিজের সেরাটা দিতে চাই।’

নিজের সেরাটা এই স্ট্রাইকার দিচ্ছেন– তার প্রমাণ পরিসংখ্যান। চলতি বছর আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতাও লাউতারো। এ বছর ১৬ ম্যাচে ১১ গোল করেছেন ইন্টার মিলানে খেলা এই স্ট্রাইকার। ১০ ম্যাচে ৬ গোল মেসির।বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সব মিলিয়ে ১০ গোল করা মার্তিনেজ গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকাতেও হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা (৫)। 

 

পুরো বছরের খেলা নিয়ে মার্টিনেজ বললেন, ‘এই বছরটা খুব ইতিবাচক ছিল। সৌভাগ্যবশত আমরা জয় দিয়ে শেষ করতে পারলাম। পারফরম্যান্স, গোল ও ম্যাচ খেলার হিসাবে বছরটা দারুণ ছিল। আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং দিনে দিনে উন্নতি করতে হবে।’

১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বছর শেষ করল আর্জেন্টিনা। পরের বছর নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই কঠিন সূচি তাদের। মার্চে প্রথম ম্যাচে খেলতে হবে উরুগুয়ের বিপক্ষে। এরপরেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ। 

লাউতারো জানেন তাদের হারাতে সবাই মুখিয়ে আছেন। এই স্ট্রাইকারের মুখে তাই ফর্ম ধরে রাখার তাগিদ, ‘সবাই আমাদের হারাতে চায়। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সব সময়ই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। উন্নতির জায়গা আছে, তবে আমাদের নিজেদের পথটা ধরে রাখতে হবে।’

জেএ