‘নেইমার এমন খেলোয়াড়, যার কমপক্ষে পাঁচ ব্যালন থাকা উচিৎ ছিল’
অনন্য প্রতিভার দারুণ অপচয় বলা হয় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রকে। নেপথ্য কারণ আর কিছু নয়– বারবার ইনজুরিতে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়া, চোটগ্রস্ত সময়েও অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন এবং আর্থিক লাভের জন্য ‘অসময়ে’ ক্লাব পরিবর্তন! এসব বিষয় বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি এবং সেখান থেকে আল-হিলালে যোগদানের সময় বেশ আলোচিত ছিল। এদিকে, জিয়ানলুইজি বুফনের মতে– নেইমার এমন খেলোয়াড়, যার কমপক্ষে পাঁচটি ব্যালন থাকা উচিৎ ছিল!
ইতালিয়ান এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন। এমনকি সময়ের অন্যতম দুই সেরা তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানোর রোনালদোর চেয়েও এই ব্রাজিলিয়ানকে বেশি প্রতিভাবান বলে মনে করেন বুফন। নেইমার-বুফন দুজনই একই ক্লাবে খেলেছেন, আবার লড়েছেন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে। সেই অভিজ্ঞতাই পিএসজি ও জুভেন্তাসের সাবেক গোলরক্ষক এবারের মন্তব্যে জানালেন।
বিজ্ঞাপন
কেবল নেইমারই নয়, রোনালদো–জিনেদিন জিদানের মতো তারকাদের সঙ্গেও একই জার্সিতে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন বুফন। যেখানে মেসিসহ সেই সময়ের আরও প্রতিভাবানরা ছিল তার প্রতিপক্ষ। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত গোলবারে নিজের বিশ্বস্ততা দেখিয়েছেন বুফন। পরে ২০২৩ সালে তিনি পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বলেন।
— ESPN FC (@ESPNFC) November 19, 2024
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘করিয়েরে ডেলা সেরা’য় এক প্রশ্নের জবাবে বুফন বলেন, ‘আমি তিনটি প্রজন্মের সঙ্গে খেলেছি। আমি কীভাবে তাদের মধ্যে থেকে (সেরা) প্রতিদ্বন্দ্বী বেছে নেব? জিদান, রোনালদো (নাজারিও), মেসি, সিআরসেভেন, ইনিয়েস্তা…তবে আমি একজনকেই বেছে নিতে চাই, সেটি হচ্ছে নেইমার। সেই এমন একজন ফুটবলার ও ব্যক্তি, যার কমপক্ষে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জেতা উচিৎ ছিল।’
আরও পড়ুন
২০১৮-১৯ মৌসুমে বুফন নেইমারের সঙ্গে পিএসজির হয়ে খেলেছেন। পরে জুভেন্তাসে যোগ দিয়ে মাঠ মাতিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর একই জার্সিতে। নেইমারের মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা সমালোচনা সইতে হয়নি, যতটা না তার অনয়িন্ত্রিত জীবনাচার নিয়ে কথা হয়েছে। তবুও এর বাইরে যতটা সময় মাঠে থেকেছেন, সেলেসাও তারকা ছিলেন মেসি-রোনালদোর ছায়া হয়েই। এই দুজনই মূলত গত দুই দশক ধরে পরস্পরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকবার ব্যালন ডি’অরের তালিকায় থাকলেও, জেতার সৌভাগ্য হয়নি নেইমারের। ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ফরাসি সাময়িকীর এই গোল্ডেন বল পাওয়ার দৌড়ে তৃতীয় হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
এএইচএস