বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জাকারিয়া পিন্টু। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি মসজিদে বাদ আসর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রথম জানাজায় এসেছিলেন ফুটবলাঙ্গনের অনেকেই। সাবেক তারকা ফুটবলার খন্দকার রকিবুল ইসলাম তার ক্যারিয়ারে পিন্টুর অবদান সম্পর্কে বলেন, ‘৭৩ সালে আমি খুবই জুনিয়র একজন। আর সেই সময় পিন্টু ভাই অত্যন্ত বড় মাপের খেলোয়াড়। তার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আমি মোহামেডানে ৭৪ সালে খেলতে পেরেছি। সেই সময় সেই সহযোগিতা না পেলে হয়তো ফুটবলারই হওয়া হতো না।’

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের একজন কাজী আনোয়ার। ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলো আনোয়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন পিন্টুকে, ‘জেলা পর্যায়ে আমি পিন্টু ভাইয়ের বিপক্ষে খেলেছি। সে খেলোয়াড় ও ব্যক্তি হিসেবে অনন্য অসাধারণ।’ পিন্টুর ছোট ভাই মঈন নিজেও ফুটবলার ছিলেন। ভাইয়ের নিবেদন দেখেছেন খুব কাছ থেকে, ‘ফুটবল ছিল তার সাধনা। ব্যক্তিজীবনে তিনি ফুটবলকে লালন করেছেন।’

জানা গেছে, পিন্টুর এক মেয়ে বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে রওনা হয়েছেন ইংল্যান্ড থেকে। সন্ধ্যার পর থেকে হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ। আগামীকাল সকালে পিন্টুর প্রাণপ্রিয় ক্লাব মোহামেডানে হবে আরেকটি জানাজা। মোহামেডান ক্লাবে পিন্টুকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। স্বাধীন বাংলা ফুটবলাররা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তাদের প্রয়াণে রাষ্ট্র সম্মাননা জানায়। 

পিন্টুর প্রয়াণে পুরো ক্রীড়াঙ্গন শোকাহত। বাফুফে, মোহামেডান ক্লাব, আবাহনী, দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন সাফসহ দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, সংস্থা ও ব্যক্তিত্ব গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

এজেড/এফআই