ফুটবলাঙ্গনে বেশ পরিচিত মুখ জালালউদ্দিন জালু। বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থতাকে ডিঙিয়ে প্রায় নিয়মিত আসতেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির অফিসে। চিরচেনা জালু আজ বিকেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রাতে রাজধানীর খিলগাঁও কবরস্থানে চিরশায়িত হয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও ফুটবল সংগঠক। 

বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে নিচের স্তর পাইওিয়ার। ১৯৮১ সাল থেকে শুরু হওয়া পাইওনিয়ার লিগ থেকে তার ফুটবলের সম্পৃক্ততা শুরু। মৃত্যু অব্দি তিনি ফুটবলের সঙ্গেই ছিলেন। বাফুফের সাবেক সদস্য ও প্রবীণ ফুটবল সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল জালু সম্পর্কে বলেন, ‘অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে পাইওনিয়ার এবং জুনিয়র পর্যায়ের ফুটবলের সাথে জড়িত। প্রথম পাইওনিয়ার ক্লাব সমিতির সে সাধারণ সম্পাদক ছিল। ফুটবল একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি হারাল।’ 

গত তিন যুগ বাফুফের নানা কমিটিতে থেকে কাজ করেছেন। কখনো ফেডারেশনে নির্বাচন করে নির্বাহী কমিটিতে যাওয়ার লালসা ছিল না। ফুটবলে কর্মকর্তাদের অনেক গ্রুপ থাকলেও তিনি আলাদা ব্যক্তিত্ব নিয়েই চলাফেরা করায় সবার প্রিয় ‘জালু ভাই’ হিসেবে থাকতে পেরেছেন। খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। চলাফেরা ছিল একেবারে সাদামাটা ও ব্যবহার ছিল অমায়িক। 

জালু ক্ষুদ্র সামর্থ্যের মধ্যে ফুটবলের সর্বোচ্চ সেরা করেছেন। জালুর প্রয়াণে বাফুফে কোনো শোক প্রকাশ করেনি এখনো। কারণ জালু ফেডারেশনের কাউন্সিলর বা প্রভাবশালী কেউ নন। অথচ অনেক অচেনা, ফুটবলে নতুন আসা অনেক সংগঠকের পরিবারের সদস্যদের জন্যও শোক জানায় বাফুফে। 

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সহজেই শোক জানানোর উপায় আছে। নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক স্টাফদের এত ব্যস্ততা জালুর প্রয়াণে শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জানানোর সময় ও মানসিকতা যেন নেই। 

এজেড/জেএ