এক সময় বাংলাদেশের ফুটবলে গোলরক্ষক কোচদের তেমন কদর ছিল না। হেড কোচই গোলরক্ষকদের অনুশীলন করাতেন। সময়ের পরিবর্তনে এখন গোলরক্ষক কোচদের আলাদা কদর বেড়েছে। বেশ কয়েকজন সাবেক ফুটবলার গোলরক্ষক কোচিং পেশা হিসেবে নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম নুরুজ্জামান নয়ন।

খেলোয়াড়ী জীবনে তেমন তারকা খ্যাতি ছিল না গোলরক্ষক নয়নের। তবে কোচ হিসেবে নিজেকে বেশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। গোলরক্ষক কোচিংয়ে এশিয়ার শীর্ষ সনদ নিজে অর্জন করেছেন কয়েক বছর আগেই। এবার পেয়েছেন গোলরক্ষক কোচদের কোচিং করানোর সনদ। এএফসিতে গোলরক্ষক কোচদের সেমিনার শেষে দেশে ফিরে নয়ন বলেন, ‘এখন থেকে আমি গোলরক্ষক সি ও বি ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারব। যা বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের জন্য বিশেষ ঘটনাই। আগে কখনো দেশি গোলরক্ষক ইন্সট্রাকটর ছিল না।’

সাবেক তারকা গোলরক্ষক ছাইদ হাসান কানন এখন গোলরক্ষক কোচ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি সম্প্রতি গোলরক্ষক কোচদের একটি কোর্সে সহকারী ইন্সট্রাকটর ছিলেন বাফুফের সাবেক ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির সঙ্গে। সেই হিসেবে নয়নই বাংলাদেশের প্রথম এএফসি স্বীকৃতি গোলরক্ষক ইন্সট্রাকটর,‌‌ ‘এএফসি প্রতি দেশে গোলরক্ষক কোচ তৈরির জন্য ইন্সট্রাকটর করছে। বাফুফে থেকে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং কোর্স ভালো মতো সম্পন্ন করায় আমি এই যোগ্যতা অর্জন করেছি।’

বাংলাদেশের অনেক ক্লাবই গোলরক্ষক কোচ নিয়ে উদাসীন। বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক কোচিংয়ে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। নয়নকে অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং কোর্সে পাঠিয়েছে কিংস। তাই আজকের অবস্থানের জন্য ক্লাবকে বিশেষ ধন্যবাদ দিলেন,‌ ‘ক্লাবের সহযোগিতা না পেলে আমি এই অবস্থায় আসতে পারতাম না। গোলরক্ষক কোচ হিসেবে যতটুকু অর্জন করেছি তা এখন নতুনদের মাঝে বিতরণ করতে চাই।’

বাংলাদেশের বর্তমান গোলরক্ষকদের নিয়ে নয়নের পর্যবেক্ষণ, ‘অন্য পজিশনের তুলনায় বাংলাদেশের গোলরক্ষক পজিশনে সক্রিয়তার হার বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরা গোলরক্ষক পজিশনে ভালো অবস্থানে আছি। সামনে সেটি এশিয়ান পর্যায়ে নিতে চাই।’ 

এজেড/জেএ